এম আবুহেনা সাগর; ঈদগাঁও :
কক্সবাজার সদর উপজেলার ইসলামাবাদ সাতজুলা কাটা গ্রামের এগার বছর বয়সী এনামুল হক মাত্র একশত ছয়দিনে বা তিনমাস ষোলদিন পর ত্রিশ পারা কুরআন হিফজ করে চমক দেখিয়েছে। সে ইউনিয়নের সৌদি প্রাবাসী হাফেজ ছলিম উল্লাহর পুত্র। কুরআনের পাখি হাফেজ এনামুল হক তানযীমুল উম্মাহ হিফজ মাদরাসা কক্সবাজার শাখার ষষ্ঠ শ্রেণীর মেধাবী শিক্ষার্থী বলে জানা যায়। সে তিন ভাইয়ের মধ্য সকলের বড়। বড় হয়ে নিজেকে একজন আমলদার আলেম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় হাফেজ এনামুল। অল্প দিনের হাফেজে কুরআন এনামুল হক আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে বলে- দিনের পড়া শেষ করে যখন বন্ধুরা ঘুমিয়ে পড়তো তখন আমি না ঘুমিয়ে পড়তে থাকতাম। আগ্রহ ছিল কম সময়ে কিভাবে কুরআন মুখস্থ করা যায়। সেই আগ্রহ থেকে অনেক সময় রাত জেগে পড়তাম। আবার সবার আগে সকালে ঘুম থেকে ওঠে যেতাম। আমি ভাল মানের একজন আলেম হতে চাই।
হাফেজ এনাম শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে জানায়, আমার ফলাফলের পেছনে অধ্য হাফেজ রিয়াদ হায়দার ও শ্রেণী শিক্ষক দেলোয়ার হোসাইনের তদারকি বেশী ছিল। শিক্ষকরা আমাকে শাসনের চেয়ে বেশী সোহাগ করতেন। পড়তে বেশী উদ্বুদ্ধ করেছেন।
মাদরাসার অধ্যক্ষের মতে, এনামুল হক খুবই অমায়িক ও মেধাবী ছাত্র। পড়ার জন্য তাকে কোন দিন চাপ দিতে হয়নি। তিন মাস আগে সে মাদরাসায় ভর্তি হয়েছিল। সে পড়ালেখার পাশাপাশি ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে পারদর্শী। বিগত বার্ষিক অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি, ক্বেরাত, গজলসহ সে একাই ৫টি পুরস্কারে জিতেছে। তার মেধা, বৃদ্ধি ও চরিত্র অনুসরণ করার মতো।