সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / অপরাধ ও আইন / ইয়াবা আগ্রাসন কমাতে নিষিদ্ধ হচ্ছে নাফ নদীতে মাছ ধরা

ইয়াবা আগ্রাসন কমাতে নিষিদ্ধ হচ্ছে নাফ নদীতে মাছ ধরা

প্রতিকী ছবি

গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :

বাংলাদেশের যুব সমাজকে মাদকের ভয়াল আগ্রাসন থেকে বাঁচাতে এবং অবাধ ইয়াবার পাচার ঠেকাতে বিশেষ কৌশল হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসনিক সদস্যরা। কারন মিয়ানমারের ইয়াবার করাল গ্রাস এখন দেশের বিভিন্ন জায়গায় পৌছে গেছে।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, দেশের প্রতিটি জেলার গ্রামে গ্রামে ইয়াবার মরণ নেশার শিকার হয়ে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে যুব সমাজ। প্রতিনিয়ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে প্রায়ই ধরা পড়ছে ইয়াবার বিপুল পরিমাণ চালান ও ইয়াবা পাচারকারী।

কিন্তু ইয়াবা প্রতিরোধে কোন প্রকার উন্নতি হচ্ছে না। প্রতিদিন পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসছে বস্তা বস্তা ইয়াবা। বেশীর ভাগ ইয়াবা আসে নৌপথ দিয়ে। এর মধ্যে টেকনাফের নাফ নদী হচ্ছে অন্যতম। দেশে ইয়াবা অনুপ্রবেশের মূল পয়েন্ট হলো কক্সবাজার জেলার টেকনাফ সীমান্ত এলাকা।

সূত্রে জানা যায়, ইয়াবা পাচারে সবচেয়ে বেশী ব্যবহার হয় বঙ্গোপসাগরের মাছধরার ট্রলার ও নাফ নদীতে জেলেদের ব্যবহার করা ছোট ছোট নৌকা গুলো। সেই সূত্র ধরে ইয়াবা পাচার প্রতিরোধ করতে সরকার টেকনাফের নাফ নদীতে জেলেদের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত হাতে নিয়েছে।

এ তথ্যটি জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ১৫ জুন শনিবার চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় র‌্যাব-৭ কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, খুব শীঘ্রই বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্ত এলাকার টেকনাফের নাফ নদীতে মাছ শিকার বন্ধের ঘোষণা আসতে পারে।

এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, জেলেরা সমুদ্রে গিয়ে মাছ ধরলে আমাদের কোনো বাধা নেই। আমরা শুধু অনুরোধ করব তারা যেনো নাফ নদীতে মাছ শিকার না করে। এতে আমাদের সীমান্ত প্রহরী বিজিবি এবং কোস্টগার্ড সদস্যরা ইয়াবা পাচারকারীদের খুব সহজে নজরদারিতে আনতে পারবে। তাহলে ইয়াবা পাচার প্রতিরোধ করতে আরো সুন্দর ভূমিকা পালন করতে পারবে সীমান্ত প্রহরী আমাদের সৈনিকেরা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে এ সংক্রান্ত কর্মসূচিগুলো ঘোষণা করা হবে।

এই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, আবদুল লতিফ এমপি, চট্টগ্রামের সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিন, সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আতাহার আলী, সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার।

এদিকে এই সংবাদটি টেকনাফ উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে নাফ নদীর সীমান্ত এলাকায় মাছ শিকার করা প্রায় ১০ হাজার জেলেদের পরিবারে দেখা দিয়েছে নির্মম হতাশা।

অনেকে বলছে নাফ নদীতে মাছ শিকার বন্ধ হয়ে গেলে আমরা বউ, বাচ্চা নিয়ে কিভাবে সংসার চালাবো।

আবার কেউ কেউ বলছে নাফ নদীতে মাছ শিকার বন্ধ করার আগে আমাদের জেলে পরিবারের জন্য নতুন কর্মস্থল ঠিক করে দিতে হবে। তা নাহলে আমাদেরকে বউ-বাচ্চা নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে। এই সংবাদটি পর্যালোচনা করে টেকনাফের সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা অভিমত প্রকাশ করে বলেন, ইয়াবা পাচার প্রতিরোধে শুধু নাফ নদীতে মাছ শিকার করা বন্ধ করলে হবে না, কারণ ইয়াবার সর্ববৃহৎ চালান গুলো পাচার হচ্ছে গভীর বঙ্গোপসাগর দিয়ে।

তাদের দাবী মিয়ানমারের ইয়াবা পাচার বন্ধ করতে হলে সর্ব-প্রথম বাংলাদেশ-মিয়ানমার অরক্ষিত সীমান্ত এলাকাটিকে কাঁঠা তারের বেঁড়া দিয়ে রক্ষিত করার ব্যবস্থা হাতে নিতে হবে।

তার পাশাপাশি মিয়ানমার থেকে সাগর পথ পাড়ি দিয়ে আসা পণ্যবাহী বড় বড় ট্রলার গুলোর প্রতি নজর রাখতে হবে। কারণ বৈধ ব্যবসার আড়ালে মিয়ানমারের লক্ষ লক্ষ ইয়াবা পাচার করছে ভদ্রবেশী অসাধু ব্যবসায়ীরা।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

ঈদগাঁওর সংবাদকর্মী আবু হেনা সাগরের মাতা অসুস্থ : দোয়া কামনা 

  বার্তা পরিবেশক : কক্সবাজারে ঈদগাঁও উপজেলার সংবাদকর্মী এম আবুহেনা সাগরের মাতা অসুস্থ হয়ে চট্টগ্রামের ইবনে ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/