হুমায়ুন কবির জুশান; উখিয়া :
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরি বলেছেন, ভারত ও ইংল্যান্ডসহ বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবেই হয়। দলীয়ভাবে প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হয়। আমাদের দেশে এ নির্বাচন নির্দলীয়ভাবে হলেও সব সময় দলীয় প্রভাব পড়ে। এটি সরকারের একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত।
এদিকে উখিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি কাজী রফিক উদ্দিন বলেন, আমরা অস্বীকার করি না যে উন্নত গণতান্ত্রিক দেশগুলোর অনেকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতিকেই করে থাকে। কিন্তু সেসব দেশে আমাদের দেশের মতো রাজনীতির অপচর্চা হয় না। সেখানে নিরপেক্ষ প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করে। বাংলাদেশে এই চিত্র বিপরীত। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে উখিয়ায় আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন প্রার্থীরা।
এব্যাপারে রত্নাপালং ইউনিয়নের সাবেক সফল চেয়ারম্যান আববাস উদ্দিন কন্ট্রাকটার বলেন, দলীয়ভাবে নির্বাচন হলেও দল এবার আমাকেই মনোনয়ন দেবেন। কোন কারণে মনোনয়ন না পেলে কি করবেন জানতে চাইলে তিনি বলার আগেই তার এক ভক্ত বলেন, চট্টগ্রামের সাবেক সিটি মেয়র মনজুর আলমের মতো রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। কারণ তার রয়েছে জনগণের ভালোবাসা।এ কথায় সাবেক চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিন মৃদু হেসে বললেন তাই হবে। ইতোমধ্যেই সরকার আসন্ন পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন দলীয় প্রতীকে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে জামায়াত যেহেতু দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে পারবে না, তাই বিএনপি কোনো এলাকায় জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীকে সমর্থন দিলে ওই প্রার্থী বিএনপির প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার সুযোগ পাবে। সেহেতু রত্নাপালং ইউনিয়নে জামায়াতকে ছেড়ে দিচ্ছে কিনা তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
জামায়াতের এক নেতা বলেন, উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবুল ফজলকে রত্নাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদের জন্য ফিট মনে করছেন অনেকেই। সামনে উখিয়া উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল। সে কাউন্সিলের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে কমিটি পুনর্গঠনকালেই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া চলছে। উখিয়ায় আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জামায়াত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জন্য ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছেন। এ নির্বাচন নিয়ে জাতীয় পার্টির কোনো মাথাব্যথা নেই। নির্বাচনের দিন যথই ঘনিয়ে আসছে চেয়ারম্যান ও সদস্যপদ প্রার্থীর তালিকা ততই বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। তাই ভোটারদের কদরও বাড়ছে।
স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ মনে করছেন, দলীয়ভাবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হলে তৃণমূল পর্যায়ে গণতন্ত্রেও বিকাশ হবে, চর্চাও বাড়বে।
You must be logged in to post a comment.