সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / সাম্প্রতিক... / উখিয়া ষ্টেশনে ডাষ্টবিন নেই : বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পার্থক্য আকাশ-পাতাল

উখিয়া ষ্টেশনে ডাষ্টবিন নেই : বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পার্থক্য আকাশ-পাতাল

উখিয়া উপজেলা বিএনপির কার্যালয় সংলগ্ন বস্তাবন্ধি করে রাখা ময়লা দখল করে ফেলছে যাতায়াতের রাস্তার অর্ধেকের বেশি।ময়লায় দুর্গন্ধে অতিষ্ট এলাকার মানুষ।

হুমায়ুন কবির জুশান; উখিয়া :
উখিয়া সদর ষ্টেশন রাজাপালং ইউনিয়নের অধীনে। উখিয়া উপজেলা গেইট সংলগ্ন হাইস্কুল মাঠের দক্ষিণ পাশে ময়লার দুর্গন্ধে অতিষ্ট এলাকার মানুষ। উখিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে ময়লার স্তুপে কচিমনা শিশুদের বিদ্যালয়ে হেটে যেতে মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোটবাজার ষ্টেশনের চেয়ে উখিয়া সদর ষ্টেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পার্থক্য আকাশ-পাতাল। কোটবাজার ষ্টেশন এলাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সুশৃঙ্খল হলেও উখিয়া ষ্টেশন এলাকা বর্জ্যে একাকার ও পূতিগন্ধময়।

উখিয়া ষ্টেশনের দোকানগুলোর ময়লা রাস্তার পাশে ফেলে রাখে।মধ্যম ষ্টেশনে হাসপাতাল রোডে রয়েছে মুরগির বাজার।ষ্টেশনের পাশেই দারোগা বাজারে গরুর মাংস ও মাছের বাজার রয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছে সবজি বাজার ও ফার্ম মুরগির বাজার। দারোগা বাজারসহ চারটি মার্কেট রয়েছে উখিয়া সদর ষ্টেশনে। উখিয়া ষ্টেশনে ডাষ্টবিন নেই।ষ্টেশনের রাস্তায় এত বেশি পরিমাণে ময়লা আবর্জনা জমা হয় যে, চলার পথের অর্ধেকেরও বেশি আটকে যায়।

যানবাহনগুলো ময়লার ওপর দিয়ে চলায় পুরো সড়কে পূতিগন্ধময় পরিবেশের তৈরি হয়। এই ষ্টেশনে রয়েছে নুর হোটেলসহ বেশ কয়েকটি খাবার হোটেল, সেগুলোর ময়লা- আবর্জনা ফেলে ওই ষ্টেশনকে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত করা হয়েছে। এই ষ্টেশনে প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন আরাফাত হোটেল নামে একটি আবাসিক হোটেল রয়েছে। এখানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কোনো সমন্বিত উদ্যোগ নেই। অথচ কোটবাজারের ষ্টেশনেই রয়েছে অরিজিন হাসপাতালসহ একাধিক সেবাকেন্দ্র। বাণিজ্যকেন্দ্র খ্যাত এখানে রয়েছে দশের অধিক মার্কেট। হাট-বাজারসহ জমজমাট থাকে সার্বক্ষণ জনসাধারণের কোলাহল।উখিয়া ও কোটবাজার এই দুই ষ্টেশনে বর্জ্য ব্যাবস্থাপনায় পার্থক্য আকাশ-পাতাল।

মাহবুব আলম সওদাগর বলেন, ড্রেনগুলো পরিস্কার না থাকায় এবং একটু বৃষ্টিতে পানি জমে যায় এখানে। তাছাড়া ষ্টেশনে ময়লা ফেলার জন্যে কোনো ডাষ্টবিন নেই।

পরিকল্পিত উখিয়া চাই এর আহবায়ক সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেন, এখানে যারা ক্ষমতায় আছেন, তারা কোন কাজ পরিকল্পিতভাবে করেন না। যদি পরিকল্পিতভাবে করা হতো তাহলে সরকার যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দেন তা যদি যথাযথভাবে কাজে লাগানো যেত তাহলে আজ উখিয়ার এই হাল হতো না। এসময় বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় মানুষের সচেতনতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।

পথচারি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, ষ্টেশনের আশপাশের যেসব দোকান ও খাবার হোটেল রয়েছে তাদের আবর্জনা যারা রাস্তায় ফেলবে তাদের জরিমানা করা উচিত। অনেক দিন ধরে এই ধরনের পরিচ্ছন্ন অভিযান পরিচালিত হতে দেখা যাচ্ছে না। আমরা উখিয়ার সৌন্দর্য রক্ষায় প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

ঈদগড়ে পাহাড়ি ঢলে বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন : পুনর্বাসনের সহযোগিতা কামনা 

  এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও : চলমান বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে ঈদগড়ে এবার একাধিক বসতবাড়ি ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/