এমএনপি চালু হলে ‘ভুগবে’ টেলিটক

দেশে মোবাইল নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর পরিবর্তন বা মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি চালুর উদ্যোগ নিয়েছে বিটিআরসি। এই সুবিধা চালু হলে একজন গ্রাহক তার মোবাইল নম্বর ঠিক রেখেই অপারেটর পরিবর্তন করতে পারবেন। এই ব্যবস্থা চালু হলে রাষ্ট্রীয় টেলিকম অপারেটর টেলিটক এবং সিটিসেল গ্রাহক হারানোর আশঙ্কা করছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এমএনপি সম্পর্কে এখনো দেশের মোবাইল গ্রাহকরা ভালোভাবে অবগত নন। এটি চালু হলে টেলিটক ও সিটিসেলের মত ছোট অপারেটরা গ্রাহক হারাতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কলরেটের সর্বনিম্ন হার ঠিক না করে এমএনপি চালু করলে গ্রাহক সেবার সাশ্রয়ের বদলে খরচ বাড়তে পারে।

দক্ষিণ এশিয়া সহ বিশ্বের প্রায় ৭০ টি দেশে মোবাইল নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে। প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানেও এই সুবিধা রয়েছে।

দেশে এমএনপি চালু করার জন্য সরকার ২০১২ সালে প্রথম উদ্যোগ নেয়। পরবর্তীতে ২০১৩ সালের ১৩ জুন মুঠোফোন অপারেটরদের এ ব্যবস্থা চালু করার একটি নির্দেশনাও দিয়েছিল বিটিআরসি। নির্দেশনায় বলা হয়, ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে গ্রাহকদের এ সুবিধা দিতে হবে। ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ নিয়ে অনলাইনে গ্রাহকদের মতামত নেয় বিটিআরসি।

দেশের অপারেটরগুলো এ বিষয়ে পারদর্শী না হওয়ার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে একাজে মনোনীত করে। এগুলো রিভ নাম্বার লি., গ্রিনটেক ইন্টারন্যাশনাল, ইনফোজিলিয়ন বিডি, টেলিটেক কনসোর্টিয়াম, ব্রাজিল বাংলাদেশ কনসোর্টিয়াম। ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা এমএনপির বিপক্ষে নই। তবে আমরা চাই এবিষয়ে আগে গণশুনানি হোক। এমএনপি নিয়ে গ্রাহকরা জানুক। এজন্য সরকারের আরও প্রচারণা দরকার।’

মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এমএনপি চালু হলে দেশে টেলিকম অপারেটরগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতার বাড়বে। গ্রাহক ধরে রাখার জন্য তারা বিভিন্ন অফার ও সুযোগ সুবিধা দেবে। তবে ছোট অপারেটরদের কাছে এমএনপি শঙ্কা কারণও হতে পারে। কেননা, এসব অপারেটরের গ্রাহকরা তুলনামূলক বেশি সুবিধা পাওয়ার আসায় অন্য অপারেটরের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারে ‘

মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, নীতিমালায় বলা হয়েছে এমএনপিতে একজন গ্রাহককে অন্য অপারেটরের যাবার সময় ৩০ টাকা চার্জ দিতে হবে। এর পাশাপাশি নেটওয়ার্ক পরিবর্তন করলে ১০০ টাকার ভ্যাট দিতে হবে। কিন্তু এই ভ্যাট গ্রাহক দেবে নাকি অপারেটর বহন করবে সে সম্পর্কে বিটিআরসি পরিস্কার করে কিছু বলেনি।

সূত্র:deshebideshe.com,ডেস্ক।