সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / সাম্প্রতিক... / কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজের ঝাঁঝ বাড়ছে : দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবনে নাভিশ্বাস

কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজের ঝাঁঝ বাড়ছে : দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবনে নাভিশ্বাস

এম আবুহেনা সাগর; ঈদগাঁও :

জেলা সদরের ঈদগাঁও বাজারসহ পাশ্বর্বতী উপবাজার সমূহে বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য ক্রয়-ক্ষমতার বাইরে চললে চলে। এতে করে কর্মজীবী, দিনমজুর, অসহায় ও খেটে খাওয়া লোকজন অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে এক প্রকার জনজীবনে নাভিশ্বাস হয়ে ওঠেছে। কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজের ঝাঁঝ বেড়েই চলছে।

এদিকে ঈদগাঁও বাজারে আসা অনেক ক্রেতা বিক্রেতাদের মাঝে বিরুপ প্রক্রিয়া ও লক্ষনীয়। কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওর ভাদিতলায় অবস্থান করা অসহায় লাকড়ি বিক্রেতা আবদু শুক্কুর। প্রায় প্রতিদিন পাশ্বর্বতী কিংবা তারও দূর থেকে ভোর সকালে পাহাড়ে গিয়ে লাকড়ী কেটে বোঝাই করে এনে ঈদগাঁও বাজারে বিক্রি করে। এটি বিক্রি করে সে মূলত দুইশত থেকে আড়াই শত টাকা পায়। কিন্তু বাড়ীর বিভিন্ন খরচ মিটাতে তাকে আরো অর্ধেক টাকা কর্জ নিতে হয় বলে জানান। এভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় চাল, ডাল, তরী-তরকারীসহ পরিবার পরিজন চালাতে দারুণ ভাবে বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাকে। এতদিন কোন রকম চলছিলো বর্তমানে সবকিছুর দ্বিগুণ দামের কারনে টানা পড়েছে সংসারে। কিন্তু সম্প্রতি নিত্যপণ্যের বাজারে দেখা দিয়েছে দ্রব্যমূল্যের অগ্নিদাম। যে কারণে সংসার চালাতে গিয়ে নানা ভাবে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্নবিত্ত পরিবারের মানুষদেরকে।

হাসিনা পাহাড়, শিয়া পাড়া, মাইজ পাড়া, কলেজ গেইট, ভোমরিয়াঘোনা, কুলাল পাড়ার একাধিকজন খেটে খাওয়া ব্যক্তিদের মতে, তাদের বাড়ীঘরে প্রতিদিনই ২/৩শত টাকা খরচ হয়। বর্তমান সময়ে পরিবারের সদস্যদের অন্ন যোগাতে গিয়ে বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে তাদেরকে। একই কথা দিনমজুর আহমদ হোসনের। তিনি বলেন, বর্তমান বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। সংসারে একটি যোগাড় করলেও অন্যটি যোগান করতে গিয়ে নাভিশ্বাস হয়ে উঠছে।

ঈদগাঁও বাজারসহ উপ বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৫০/৬০ টাকার নিচে কোন প্রকার তরী তরকারী পাওয়া এখন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এমনকি ১০/১৫ টাকার নিচে শাক সবজি মিলানো মহা মুসকিল হয়ে পড়েছে। প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৫০টাকা আর কাঁচামরিচ ১৮০থেকে ২০০ টাকায় বিকিকিনি করতে দেখা যায়।

অন্যদিকে চাল, ডাল তৈল, রসুন, আদাসহ প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েই চলছে। নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তরাও নিত্যপণ্যর অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির যাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছে। মূল্যেবৃদ্ধিতে খিমশিম খাচ্ছে গ্রামাঞ্চলে দৈনিক আয়ের উপর নির্ভরশীল মানুষও। জীবন বাঁচাতে ন্যূনতম চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে সাধারণ মানুষকে পড়তে হচ্ছে বিপাকে। ব্যয় বাড়লেও আয় না বাড়ায় শেষ সম্বল সঞ্চয় ভেঙ্গে জীবন বাঁচানোর লড়াই করছেন অনেকেই। অথচ প্রতিকারের কোন উদ্যোগ চোখে পড়ছেনা। বর্তমান পরিস্থিতি ঈদগাঁও বাজারসহ উপ বাজার সমুহ নিয়ন্ত্রণে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা এলাকার লোকজন।

ঈদগাঁও বাসষ্টেশন ও বাজারের কয়েক বিক্রেতাদের মতে, হঠাৎ করে জিনিসের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সে অনুযায়ী সরবরাহ অনেক কম সে কারণে দাম বাড়ছে। ঈদগাঁও এলাকার প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে ছিড়িয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের কারণে এখানকার অবস্থা খারাপ হয়ে উঠছে।

এদিকে সচেতন এলাকাবাসীর মতে, ঈদগাঁওতে রোহিঙ্গা আসায় একটি বড় চাপ তৈরি হয়েছে তাই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। মানুষের জীবন যাত্রা অনেকটা থমকে যাওয়ার মত অবস্থা বললেই চলে।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

লামায় চাম্পাতলী বৌদ্ধ বিহার আগুনে পুড়ে গেছে https://coxview.com/fire-rafiq-16-4-24-1/

লামায় চাম্পাতলী বৌদ্ধ বিহার আগুনে পুড়ে গেছে

  মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম :পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা পৌরসভার চাম্পাতলী বৌদ্ধ বিহারের চেরাং ঘরে ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/