এম আবুহেনা সাগর; ঈদগাঁও :
পাটি কিংবা কোন অনুষ্ঠানে তাজা কাঁচা ফুলের পরির্বতে কৃত্রিম ফুলের সরগরমে পরিণত হয়ে পড়েছে। বৃহত্তর ঈদগাঁও সহ জেলাজুড়ে কৃত্রিম ফুলের কাছে হার মেনেছে আসলেই বাগানের কাঁচা ফুল।
দেখা যায়, কক্সবাজার সদরের বৃহত্তর ঈদগাঁও তথা ছয় ইউনিয়নের পাড়া মহল্লা বা ক্লাবে যে কোন পার্টি কিংবা বিয়ের আসরে এক সময় যে বর-কনের আসন, গেইট ও গাড়ী সাজানো হত তরতাজা হরেক রকম সুগন্ধিময় কাঁচা ফুল দিয়ে। দেখতে খুবই চমৎকার লাগতো। অন্য দশ ঘরের লোকজন কাঁচা ফুলের সাজানো গাড়ী সহ সবকিছু দেখতে ভিড় করতো। বর্তমানে সেই দৃশ্য খুঁজলেও হয়তো আর পাওয়া যাবেনা। তার স্হলে দিন বদলের যুগে সবখানেই কৃত্রিম ফুলে ছেয়ে গেছে। সুগন্ধি বিহীন নানা রঙের কাপড়ের ফুল সাধারণ মানুষজনদেরকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। এমনকি চলতি মৌমুমে বৃহত্তর এলাকা ছাড়াও জেলার প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চল জুড়েই হরেক রকমের অনুষ্ঠানে তাজা বাগানের কাঁচা ফুলের পরির্বতে কৃত্রিম ফুলের সবকিছু যেন শোভা পাচ্ছে লোকজনের মাঝে।
এছাড়াও ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়ীক দৃষ্টিনন্দন অফিসেও এসব কৃত্রিম ফুল রাখতে চোখে পড়ে। আবার বিভিন্ন বাসা বাড়ীর বেলকলিতেও সাজিয়ে রাখতে দেখা যায়।
এদিকে ঈদগাঁও বাসষ্টেশনে আল সিকদার ইন্টারন্যাশনালে প্রবেশ করলে দেখা যায় বেশ কয়েকটি টবের কৃত্রিম বা কাগজের ফুল। মুচকি হাসি দিয়ে মালিক ছোটন খাঁনের কাছে জানতে চাইলে সে জানান, কাঁচা ফুল ২/১ দিনের বেশি রাখা যায়না, সৌন্দর্যরূপ নষ্ট হয়ে পড়ে। আর কৃত্রিম ফুল হলে আজীবন রাখা যায়। তবে সুগন্ধি না থাকলেও সৌন্দর্য্য উপভোগ করা যায়।
অপরদিকে জেলা সদরের ঐতিহ্যবাহী ঈদগাঁও বাজারের পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সন্নিকটে ফুলের দোকানগুলোতেও কাঁচা ফুলের পরির্বতে কৃত্রিম বা কাগজের বিভিন্ন ডিজাইনেবল ফুল দোকানের সামনে সাজিয়ে রাখতে চোখে পড়ে।
ফুলের দোকানের কয়েক কর্মচারীর মতে, বর্তমানে কাঁচা ফুলের পাশাপাশি এটির কদর ও রয়েছে নানান বিয়ে বাড়ীতে।
এ ব্যাপারে এক সচেতন ব্যক্তির মতে, অবিকল কাঁচা ফুলের মত ভিন দেশীয় তৈরী কৃত্রিম ফুল এখন শহর থেকে গ্রামাঞ্চলের আনাচে কানাছে ছড়িয়ে ছিড়িয়ে রয়েছে।।
You must be logged in to post a comment.