মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় চারটি চিংড়ি ঘেরে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এসময় লুটপাটকারীরা এলাপাতাড়ি গুলি করলে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় দুইজন। উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ডুমখালী, কাটাখালী ও চিরিঙ্গা ইউনিয়নের চরণদ্বীপ এলাকায় সোমবার ভোররাতে এ লুটপাটের ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধরা হলেন, মোহাম্মদ হারুন ও মাহমুদুল করিম।
চিংড়ি চাষিদের অভিযোগ, চিংড়িজোনের ডাকাত সর্দার পটুর নেতৃত্বে ২০-২২ জনের একটি স্বশস্ত্র দুর্বৃত্ত ডুমখালীর নুরুচ্ছফা ও মো. জাহেদ, কাটাখালীর বাদশা মিয়া ও শোয়াজানিয়ার মো. মাহাবুবের চিংড়ি ঘেরে হানা দেয়। একপর্যায়ে চিংড়িঘের, চিংড়ি খামার ও ইঞ্জিনচালিত নৌকায় লুটপাট চালায় দুর্বৃত্তরা। ওই সময় ঘের থেকে ছয় লাখ টাকা মূল্যের মাছ, জাল ও বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে যায় তারা। যাওয়ার সময় ৩০-৪০ রাউন্ড এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়ে। এতে নৌকার চালক মো. হারুন (২৯) ও চিংড়ি চাষি মাহমুদুল করিম (৩২) গুলিবিদ্ধ হন। হারুনের হাতে ও পিঠে ১৪টি এবং মাহমুদুল করিমের পিঠে ৩টি ছররা গুলি বিদ্ধ হয়।
জানতে চাইলে গুলিবিদ্ধ হারুন বলেন, আমার হাতে ও পিঠে বিদ্ধ হওয়া ১৪টি ছররা গুলির মধ্যে ১২টি বের করেছি। দুটি এখনো বিদ্ধ রয়েছে। বাড়িতে চিকিৎসক এনে ওই গুলি বের করি।
নুরুল আলমের চিংড়ি ঘেরের কর্মচারী বেলাল উদ্দিন বলেন, চিংড়ি ঘেরে লুটপাটের সময় ডাকাত সর্দার পটুর সাথে ২০-২২জন স্বশস্ত্র লোক ছিল। ওই বাহিনীর অত্যাচারে চকরিয়ার চিংড়ি জোন এলাকায় ঠিকে থাকা দায় হয়ে পড়েছে। পুলিশ জানায়, পটু’র বিরুদ্ধে কয়েকটি হত্যা মামলাসহ ১০টির বেশি ডাকাতি মামলা রয়েছে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, চিংড়িজোন এলাকায় গত রোববার সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যায় পর্যন্ত অভিযান চালিয়েছি। রাতে কোনো ঘেরে লুটপাট বা ডাকাতির খবর আমরা পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
You must be logged in to post a comment.