মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
ঘরের উঠানে গরু বাঁধা নিয়ে বিবাদের জের ধরে মেঝ ভাইয়ের লাটির আঘাতে ও দায়ের কোপে নিহত হয়েছেন ভাই মনজুর আলম (৩০) এসময় হামলাকারী নিজে ছাড়াও মা, অপর ভাই ও ভাবি আহত হয়। হত্যার অভিযোগে আহত মেঝ ভাই নুরুল আবছার প্রকাশ আকতারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডস্থ পশ্চিম পালাকাটা গ্রামে সংঘর্ষে আহত মনজুর আলমকে চমেক হাসপাতালে নেয়ার পথে সন্ধ্যা ৬টার দিকে মারা যায়। নিহত মনজুর আলম শ্রমিক ও ওই এলাকার মৃত আবদুস ছোবাহানের ১১ ছেলের মধ্যে নবম।
আহতরা হলেন, হামলাকারী দ্বিতীয় ভাই নুরুল আবছার প্রকাশ আকতার, অপর ভাই শামশুল আলম ও তাদের ভাবী হুমায়রা বেগম। মা হাজেরা ও শামশুল প্রাথমিক চিকিৎসা নিলেও ভাবী হুমায়রা বেগম ও হামলাকারী আবছারকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত ভাই শামশুল আলম বলেন, সকাল সাড়ে ৭টায় ঘরের উঠানে গরু বাঁধা নিয়ে বিবাদ হলে মেঝ ভাই আবছার তার স্ত্রী ও ছেলে লাঠিসোটা ও দা-কিরিচ নিয়ে হামলা করে। এতে মনজুরসহ ৪জন আহত হয়। আহত মনজুর আলমকে সকালে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে অবস্থা গুরুতর দেখে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। পরে ওই হাসপাতালে নেয়ার পর জরুরী বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দিলেও শারিরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। পরে চমেক হাসপাতালে নেয়ার পথে সন্ধ্যা ৬টার দিকে দোহাজারী এলাকায় পৌছলে মনজুর আলম মারা যায়। তার মরদেহ রাত সাড়ে ৮টার দিকে চকরিয়া থানায় নিয়ে আসা হয়।
থানার অপারেশন অফিসার তানভির আহমেদ বলেন, চকরিয়া থানার এসআই অপু বড়ুয়া লাশের প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করেছেন। এলাকাবাসীর সহায়তায় হত্যায় জড়িত অভিযোগে ভাই নুরুল আবছার (৫০)কে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আহত হওয়ায় পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মনজুর আলমকে হত্যার অভিযোগে আহত ভাই শামশুল আলম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় গ্রেপ্তার করা আহত নুরুল আবছার ছাড়াও তার স্ত্রী কুলছুমা বেগম ও ছেলে জাহিদুল ইসলাম ছোটনকে আসামী করা হয়েছে। মা ছেলেকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযানে রয়েছে। নিহত মনজুরের মরদেহ ময়নাতদন্ত করতে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
You must be logged in to post a comment.