মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে তার বসত বাড়ি। পাশের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। তার সাধের বসত বাড়িটি সরকারী সহায়তায় আবারো ঘড়ে তুলবেন সে আশায় সকাল থেকে বসে আছেন ইউনিয়ন পরিষদ কার্যলয়ে। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদে এসে বসত বাড়ি নই জুটেছে ১০ কেজি চাউলের একটি কার্ড। তাও নিতে হয়েছে অনেক কষ্টে। অনেকটা আক্ষেপের সুরে কথাগুলো বলছিলেন কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুরু জাহান (৫০)।
বৃদ্ধ স্বামী নুরুল হোসাইন ঘরেই থাকে। কোন কাজ-কাম করেনা। ৪ ছেলে ৪ মেয়ের সংসার। মেয়েদের কষ্ট করে বিয়ে দিয়েছেন। ছেলেদের কষ্টে কোন রকমে সংসার চলছে।
একই কথা বললেন ৪নং ওয়ার্ডের মৃত সোনালী ফকিরের স্ত্রী লায়লা বেগমেও। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে বসত বাড়িটি উপড়ে গেলেও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের কোন মেম্বার-চেয়ারম্যান দেখতে আসেনি। আমরা তাদের ভোট দিছি কষ্টের দিনে সাহায্য-সহযোগীতা পাওয়ার আশায়। কিন্তু তারাও আমাদের খবর নিলনা। মন্ত্রী আসবেন খবর পেয়ে ইউনিয়ন পরিষদে এসেছি সকালে। অনেক কষ্টে একটি কার্ড জোগাড় করেছি।
বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খাইরুল বশর বলেন, ঘটনাটি সত্য। ত্রাণ অপ্রতুল হওয়ার কারণে অনেককেই কার্ড দেওয়া সম্ভব হয়নি। সরকারীভাবে যেটুকু অনুদান পেয়েছি সেটুকু ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বন্টন করা হয়েছে। পরবর্তীতে অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে কার্ড দেয়া হবে।
You must be logged in to post a comment.