কক্সবাজারের চকরিয়ায় তিনজন কলেজ ছাত্রকে পিটিয়ে আহত করেছে গণপরিবহণ শ্রমিকরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে মহাসড়কের চকরিয়া কলেজ গেইট ও ডুলাহাজারা কলেজ এলাকায় শিক্ষার্থীরা ঘন্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে । এতে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামমূখী শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে।
শনিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অবরোধ চলে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম ও থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুল আজম ঘটনাস্থ পরিদর্শন করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীরা।
আহত শিক্ষার্থীরা হলেন, ডুলাহাজারা কলেজের এইচএসসি ১ম বর্ষের ছাত্র মো. বোরহান, চকরিয়া কমার্স কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্র মো. ঈসা ও চকরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের এইচএসসি ১ম বর্ষের ছাত্র মো. শহিদ। তাদেরকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, শনিবার সকালে ডুলাহাজারা থেকে চকরিয়া কলেজের ছাত্র মো. শহিদ চট্টগ্রামগামী একটি যাত্রীবাহি বাসে করে চকরিয়া পৌর বাস টার্মিনালে আসে। এসময় ভাড়া নিয়ে ওই বাসের হেলপারের সঙ্গে শহিদের কথা কাটাকাটি হয়। পরে বাসটি টার্মিনালে পৌছলে ২০-৩০ জন শ্রমিক জড়ো হয়ে শহিদকে মারধর শুরু করে। অমানবিক মারধরের ঘটনা দেখে টার্মিনাল এলাকায় বিভিন্ন কলেজে যাওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকা ৪-৫ ছাত্র শহিদকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসলে তাদের উপরও হামলা চালায় শ্রমিকরা। এতে তিন শিক্ষার্থী আহত হয়। গণপরিবহণ শ্রমিকদের পিটুনিতে তিন ছাত্র আহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পৃথক দুটি স্থানে সড়ক অবরোধ করে চকরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও ডুলাহাজারা কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ খবর পেয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম ও চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুল আজমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে ছাত্ররা অবরোধ তুলে নেয়। অবরোধের ফলে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামগামী শতাধিক গাড়ি সড়কের ওপর আটকে পড়ে। এতে দুর্ভোগে পড়ে যাত্রীরা।
সুষ্ঠু সমাধান না হলে ফের সড়ক অবরোধ করাসহ নানা আন্দোলন কর্মসুচী ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়ে একাধিক ছাত্র বলেন, বিভিন্ন কলেজে যাওয়ার সময় কোন গাড়িেেতই স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের উঠতে দেয়না পরিবহণ শ্রমিকরা। ন্যায্য ভাড়া দেয়া সত্বেও ছাত্রদের গাড়িতে না তোলা এবং কেউ উঠলেও তাকে মারধরের শিকার হতে হয়। এভাবে চললে চকরিয়ার কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যাবে। তাই গণপরিবহণ শ্রমিক ও কলেজ কর্তৃপক্ষকে নিয়ে ভবিষ্যত সমস্যা দূর করতে স্থায়ী সমাধান করা উচিত প্রশাসনের।
চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুল আজম বলেন, দুই কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি, প্রশাসন ও শ্রমিক নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসে বিষয়টির সুরাহা করা হবে।
You must be logged in to post a comment.