মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরোটলারেন্স ঘোষনা করেন। এরপর থেকে পুলিশের মহাপরিদর্শকের নির্দেশে দেশব্যাপী শুরু হয় মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান। ওই অভিযান শুরু হওয়ার পর কক্সবাজারের চকরিয়া থানা পুলিশ ঝটিকা অভিযান শুরু করে। পুলিশের একাধিক টিম গত ১৮ মে থেকে ২৭ মে পর্যন্ত ১০দিনে সাজাসহ গ্রেপ্তারী পরোয়ানাভুক্ত ১৬৭জন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে। এসময় উদ্ধার করা হয় ২৪৭ লিটার চোলাই মদ, ২ কেজি ১০৫ গ্রাম গাঁজা, ৫ হাজার ২শত পিস ইয়াবা বড়ি ও ইয়াবা বহন করা একটি নোয়া গাড়ি জব্দ করা হয়। বিশেষ অভিযানকালে ২৭টি মাদক মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় ৩৭ জনকে আসামী করা হয়।
চকরিয়া থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে পৃথক অভিযানে নেতৃত্ব দেন পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়াসির আরাফাত, এসআই আবদুল খালেক, এসআই মো.আলমগীর, এসআই অপুর বড়ুয়া, এসআই সুকান্ত চৌধুরী, এসআই রুহুল আমিন, এসআই আমিরুল ইসলামসহ থানা ও ফাঁড়ির শতাধিক পুলিশ ফোর্স।
চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্তা) মো.ইয়াসির আরাফাত বলেন, চকরিয়ার পশ্চিমে চিংড়িজোন ও পূর্ব-দক্ষিণে পাহাড়ি অরণ্য। এই দুইস্থানের বিশাল এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। তাই সমতল এলাকায় পুলিশ অভিযান শুরু করলে অপরাধীরা ওইসব এলাকায় গা ঢাকা দেয়। তাই এবার মাদক ব্যবসায়ীসহ ফেরার আসামীদের গ্রেপ্তার করতে নতুন কৌশল অবলম্বন করায় সফলতা আসছে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ১৮ মে থেকে বিশেষ অভিযান শুরু হলে চকরিয়ার একটি পৌরসভা ও ১৮টি ইউনিয়নে পুলিশের ৫টি টিম একসাথে অভিযান চালায়। ২৭মে পর্যন্ত ১০দিনে সাজাপ্রাপ্ত ১২জন, জিআর মামলার পরোয়ানাভুক্ত ৬৭জন ও সিআর মামলার পরোয়ানাভুক্ত ৮৮জন পলাতক আসামী গ্রেপ্তার করা হয়। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ১জন জিআর মামলার এবং ১১জনকে মাদকসহ গ্রেপ্তার করে ভ্রাম্যমান আদালতে সাজা দেয়া হয়।
ওসি বখতিয়ার আরো বলেন, চকরিয়ার ৫ লক্ষাধিক মানুষের মাঝে পুরোপুরি স্বস্তি দিতে টানা এ অভিযান চলেছ। ছোট-বড় কোন অপরাধী রক্ষা পাবেনা। অপরাধীদের পক্ষে কেউ সাফাই গাইলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
You must be logged in to post a comment.