মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :
সাবরিনা বেগম; বয়স ১৩। কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার রশিদ আহমদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের সংসারে তার বেড়ে উঠা। তার স্বপ্ন ছিল উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবে। কিন্তু অভাবের টানাহেঁচড়ায় মা-বাবা শিশু মেয়েকে ধর্ণাঢ্য সুপাত্র পেয়ে বিয়ে দিতে যাচ্ছিল। মেয়ের দ্বিগুণের চেয়েও বেশী বয়সী বর একই উপজেলার মালুমঘাট সোয়াজানিয়া পাড়ার বেলাল উদ্দিনের সাথে সাবরিনার বিয়ের দিন ধার্য হয় মঙ্গলবার বিকালে। সব কিছু ঠিকটাক। শুধু বর আসার অপেক্ষা। কিন্তু বর না এসে একদল পুলিশ নিয়ে উপস্থিত হলেন ইউএনও নুরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান। মেয়ের অমতেই বিয়ের পিড়িঁতে বসার কয়েক ঘন্টা আগে বাঁধ সাধলো কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন।
খবর পাওয়া মাত্রই ফাঁশিয়াখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডস্থ রহমত উল্লাহর বাড়িতে পুলিশসহ ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান। ইউএনও যাওয়া মাত্রই কনে পক্ষের লোকজন দ্বিকবিদিক ছুটে যান। মা-বাবাসহ আত্মীয়দের ডেকে বাল্য বিয়ে আইনগত অপরাধ ও সুফল-কুফল নিয়ে বুঝানোর পর ভন্ডুল হয় বিয়ে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, বাল্য বিয়ে নিয়ে বুঝানোর পর প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেনা মর্মে ছাত্রীর মা-বাবা লিখিত অঙ্গিকার পত্র দিয়েছে। এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ জড়ো হওয়া লোকজনকে বলেছি বাল্য বিয়ে সামাজিকভাবে প্রতিরোধ করতে। না পারলে প্রশাসনকে জানাতে।
You must be logged in to post a comment.