কক্সবাজার জেলার চকরিয়ার উপকূলীয় ইউনিয়ন বদরখালীর শিশুসহ ৫৫-৬০জন নারী পুরুষ ফটিকছড়ির মাইজভান্ডার শরীফে যাচ্ছিল। ওরশে যোগদান করতে রওয়ানা হয়ে কয়েক’শ গজ যাওয়া মাত্রই তাদের আনন্দ মিইয়ে যায় দুর্ঘটনায়। ভাড়া নেয়া বাসের ভেতরে স্থান না পাওয়ায় ছাদেও উঠে ৬ যাত্রী। তারা ছাদের উপর দাঁড়িয়ে ভান্ডারি গানের কোরাস ধরে নাচতে থাকে। ঠিক এসময় বৈদ্যুতিক তারে হাত ও মুখ লেগে দগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয় শিশুসহ ৪জন। আহতদের সহযোগী যাত্রীসহ স্থানীয়রা চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ণ ইউনিটে নিয়ে যেতে পরামর্শ দেন।
দগ্ধ হয়ে আহতরা হলেন, বদরখালী ইউনিয়নের সাতডালিয়া পাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে আতিক (৩২), ছনুয়াপাড়ার আকতার মাঝির ছেলে আলমগীর (২৪), তাঁর ভাই জাহাঙ্গীর আলম (২০) ও বেরুয়াখালীর শহিদুল্লাহর ছেলে রাহাতুল ইসলাম ছোটন (১২)।
প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ পারভেজ ও মোস্তাক আহমদ জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ফটিকছড়ি মাইজভান্ডার দরবার শরীফে যাওয়ার জন্য বেরুয়াখালী এলাকা থেকে ৫৫-৬০ জন যাত্রী একটি বাসে উঠে। এরমধ্যে ছয়জন যাত্রী বাসের ছাদের ওপরে উঠে ভান্ডারি গানের তালে তালে আনন্দ উল্লাস করতে থাকে। ওই সময় বাসটি বদরখালী কলেজ গেট এলাকায় পৌঁছালে রাস্তার এপার থেকে ওপারে যাওয়া পল্লী বিদ্যুতের তারে স্পৃষ্ট হন ছাদে থাকা চার যাত্রী। যাত্রীদের ভাস্যমতে প্রথমে আলমগীরের মুখে বিদ্যুতায়িত হয়। তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে অন্য তিনজনও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জখম হয়।
চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারি মেডিকেল অফিসার মো. রশিদ-উন-নবী বলেন, দগ্ধ চারজনকেই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাৎক্ষণিক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে প্রেরণ করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে একজনের মুখমন্ডল, একজনের গলা ও হাত, আর একজনের পিঠ ও অপরজনের বুকে দগ্ধ হয়েছে।
You must be logged in to post a comment.