তৃতীয় দফা ভয়াবহ বন্যা ও কোমেনের প্রভাব পড়েছে কক্সবাজার জেলার চকরিয়ার কাঁচাবাজারে। সব ধরনের সবজিসহ নিত্যপণ্যর দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। সবজিসহ নিত্যপণ্য বাজারের দাম বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন ও নিম্ন মধ্য আয়ের মানুষদের মাঝে অসহায়ত্ব ফুটে উঠেছে। একটানা বৃষ্টি ও ৩ দফা ভয়াবহ বন্যার কারণে ফসলের মাঠের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। এতে নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির হয়ে পড়েছে বলে ব্যবসায়ীদের অভিমত। এছাড়া বন্যার কারণে সড়ক পথে ঠিক সময়ে মাল না আসায়ও নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে বলে জানান ব্যসায়ীরা। এতে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে সবজির বাজার।
সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সবজির দাম অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। ৩০ টাকা দামের কাঁকরল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, আলু একদিনের ব্যবধানে ৩০ টাকা থেকে বেড়েছে ৪০ টাকায়, প্রতিটি কাঁচামালের দাম কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। অথচ গত কযেকদিন আগেও যার দাম ছিলো ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে। তবে নিত্যপণ্যের মধ্যে পেঁয়াজের দাম একেবারে আকাশচুম্বী। যে পেঁয়াজ গত বুধবার বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা কেজি ধরে সে পেঁয়াজ শনিবার কিনতে হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি ধরে।
অপরদিকে মাছ ও মাংসের বাজারও একই অবস্থা। প্রতিকেজি কাতাল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকায় এবং চিংড়ি কেজি প্রতি বেড়েছে ২০০- ৩০০ টাকা পর্যন্ত, মুরগী কেজি প্রতি ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরু ও ছাগলের মাংস কেজি প্রতি বেড়েছে ৪০-৫০ টাকা পর্যন্ত। তবে তেল ও চালের দাম বাড়েনি।
মহিবুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা জানান, বন্যার কারণে এমনিতে দুর্বিসহ জীবন পার করছি। তার উপর নিত্যপণ্যের দাম নাগালের বাইরে চলে যাওয়ায় মারাত্মক কষ্টের মধ্যে পড়েছি। মাছ-মাংসের দামতো বেড়েছেই তার উপর শাক-সবজির দামও কেজি প্রতি ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। ডাল আর ভাত খাওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই।
You must log in to post a comment.