চকরিয়া প্রতিনিধি : কক্সবাজার জেলার চকরিয়া ও পেকুয়ায় ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার ও মেরামতের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ১ কোটি ৭৯ লাখ টাকার জরুরী বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের এমপি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইলিয়াছ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি চাহিদাপত্র পাঠালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান পিজার এ বরাদ্দ দেয়ার ঘোষণা দেন। চাহিদাপত্র পাওয়ার পর মন্ত্রীর নির্দেশে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব প্রজেক্ট ডাইরেক্টর (উন্নয়ন) এ ব্যাপারে জরুরী ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে এমপি মোহাম্মদ ইলিয়াছ নিশ্চিত করেছেন। বরাদ্দ পৌছার সাথে সাথেই ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার ও মেরামতের কাজ শুরু করা যাবে।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মারুফুর রশিদ খান জানান, পেকুয়া, শিলখালী ও বারবাকিয়ায় ভয়াবহ বন্যার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপনের কাজ এখনও শেষ হয়নি। তিনি আরো জানান, পেকুয়া সদর ইউনিয়নে ক্ষয়ক্ষতি সবচেয়ে বেশী। এ ইউনিয়নের শতভাগ ঘর ও প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি উঠেছে। ওই এলাকার মানুষ জীবন বাঁচাতে গরু-ছাগল সাথে নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছিল। এখন পানি কমে যাওয়ার পর মানুষ ঘরে ফিরেছে। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ময়লা আবর্জনায় একেবারে ঠাসা। এসব ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করে পাঠদান উপযোগী করতে অনেক সময় লেগে যাবে।
সূত্রে জানা যায়, চকরিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ৮৯টি বিদ্যালয় ও পেকুয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ৫৫টি ক্ষতিগ্রস্থ বিদ্যালয়ের তালিকা তৈরী করে সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ বরাদ্দ চেয়েছেন। ওই চাহিদা মতে চকরিয়া-পেকুয়ার এমপি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইলিয়াছ চাহিদাপত্র দিয়ে চকরিয়া উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৮৯টি বিদ্যালয়ের জন্য ১কোটি ৩৫ লাখ ও পেকুয়া উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫৫টি বিদ্যালয়ের জন্য ৪৪ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছেন। এ ছাড়া চকরিয়া-পেকুয়ায় ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ সংস্কার ও মেরামতের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে ৭ কোটি টাকা জরুরী বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
You must log in to post a comment.