নিজস্ব প্রতিনিধি; ঈদগাঁও :
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। সড়কপথে টেকবাঁক। সড়কটিতে কোথাও না কোথাও ঝরছে প্রাণ। মহাসড়কটি প্রশস্তকরণের দাবীও উঠেছে।
জানা যায়, বিভিন্ন কারণে এ মহাসড়কে ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রশিক্ষণবিহীন চালক, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, বিনা প্রয়োজনে ওভারটেক, বেপরোয়া গতি, ভাঙ্গা সড়ক ও ট্রাফিক আইন না মানাসহ নানান কারণে সড়কে ঘটে থাকে দুর্ঘটনা। এছাড়াও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে রয়েছে অসংখ্য ঝুঁকিপূর্ণ টেকবাঁক।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানান, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বৈধ যানবাহনের পাশাপাশি অবৈধ পরিবহনও রয়েছে। বহু গাড়ির ফিটনেস নেই, রুট পারমিট নেই। তারপরও এসব গাড়ি মহাসড়কে চলাচল করে। যার কারণে ঘটছে প্রাণহানিকর দুর্ঘটনা।
যাত্রীরা জানান, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে অতিরিক্ত গাড়ির চাপে দুর্ঘটনা ঘটে। এছাড়াও বেপরোয়া গতি, অদক্ষ চালক, পর্যটন মৌসুমে যাত্রী বেড়ে যাওয়ায় বেশি ট্রিপের লোভ, আইন না মেনে চলাচল, ইটভাটার মাটি ও লবণের পানি সড়কে পড়ে পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ায় হঠাৎ দুর্ঘটনা বেড়ে গেছে। রয়েছে সরু সড়ক।
চালকদের মতে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহা সড়কের দু-পাশে অবৈধভাবে এতবেশি দোকান পাঠ, গাড়ির স্ট্যান্ড-গ্যারেজ গড়ে উঠেছে। তাছাড়া মহাসড়ক আঁকাবাঁকা যে, প্রতি নিয়ত ঝুঁকির মধ্যে যানবাহন চালাতে হয়। ঈদগাঁও থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত দীর্ঘপথ পাড়ি দিতে অনেকক্ষণ সময় লেগে যায়। সড়কের দুইপাশে গজে উঠা দোকানপাটের কারনে তীব্র যানজট ও প্রায়শ দুর্ঘটনা লেগে থাকে। মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ঝুঁকিপূণ স্টেশন সমূহ সরিয়ে নিলে হয়তো যানজট কিছুটা হলেও কমতো।
সামাজিক প্ল্যাটফর্ম ঐক্য পরিবারের নেতৃবৃন্দরা জানান, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কটি আঁকা-বাঁকা যে, চালকদের অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে গাড়ি চালাতে হয়। মহাসড়কের দুপাশে যত্রতত্র পার্কিংয়ের কারণে যানজট ও দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। পাশাপাশি মহাসড়কটি প্রশস্ত করনের দাবীও জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট।
সচেতন লোকজন জানান, চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার মতো যদি কয়েকটি স্থানে বাইপাস সড়ক করা যেতে পারে, তাহলে যানজটের মত দুর্ভোগ আর পোহাতে হতো না। সে সাথে সড়কে দুর্ঘটনার মত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও কম হতো।
সূত্র মতে, মহাসড়কটি প্রশস্ত হলে পৃথিবীর দ্রুততম সমুদ্র নগরী কক্সবাজারে পর্যটকের পাশাপাশি মহেশখালীর মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প ও গভীর সমুদ্র বন্দরে যাতায়াত সহজ হবে। যানমুক্ত ভ্রমণের সুবিধা পাবে বঙ্গবন্ধু টানেল দিয়ে আশা যাত্রীরাও। চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কটি ছয় লাইনে উন্নতি হলে দৃশ্যপট পাল্টে যাবে।
আগামী এক বছরের মধ্যে কাজ শুরু হবে বলে দক্ষিণ চট্টগ্রাম (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ সূত্রে জানা যায়।
You must be logged in to post a comment.