এম আবুহেনা সাগর; ঈদগাঁও :
এদেশের মানুষের বেঁচে থাকার খাদ্য তালিকায় প্রধান উপাদান হচ্ছে চাল। এ মূল্যবৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া এবং কর্মজীবী লোকজন। এক প্রকার দাম বাড়ানোর ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে বৃহত্তর এলাকার সর্বশ্রেনী পেশার মানুষেরা।
জানা যায়, ককসবাজার সদর উপজেলার বৃহত্তর ঈদগাঁও তথা ইসলামপুর, ইসলামাবাদ, জালালাবাদ, চৌফলদন্ডী, পোকখালী, ভারুয়াখালী ও ঈদগাঁও ইউনিয়নের প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলের অসহায়, কর্মজীবী, দিনে আয় করে দিনে খায় এমন মানুষজন নিদারুণ কষ্ট পাচ্ছে। কয়েক দিন মজুরদের মতে, দৈনিন্দিন খরচের সাথে পাল্লা দিয়ে কোন ভাবেই উঠতে পারছিনা। দৈনিক আয়ের দিক বিবেচনা করলে আসলেই কিছু থাকেনা। কুলিরা দিনভর ঈদগাঁও বাজারে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে, অনেকে কষ্ট করে রোদে পুড়ে পাহাড় থেকে লাকড়ি সংগ্রহ করে, আবার বহুজন সারাদিন কড়া তাপদাহে রিকসা চালিয়ে দৈনিক যা আয় করে তা দিয়ে পরিবার পরিজন চালানো তো দূরের কথা, ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ যোগাতেও হিমশিম খাচ্ছে। খাবারের জন্য নিন্মমানের চাউল কিনলে ও মাছ-তরিতরকারী কিনতে দিয়ে বিপাকে পড়তে দেখা যায়। কিছু টাকা কোন রকম যোগার করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে বেকায়দায় পড়েছে সাধারন অসহায় লোকজন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুয়েক বোঝায় করে আনা লাকড়ি ব্যবসায়ী জানান, পাহাড় থেকে সংগ্রহ করে বাজারে লাকড়ি এনে দৈনিক ৩ থেকে ৪ শতাধিক টাকা আয় করে, কিন্তু দৈনিন্দিন বাড়ীঘরের খাবার সহ নানা ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয়ে পড়ে তারই দ্বিগুণ টাকা। এক রিক্সা চালকের মতে, দিনে আয় রোজগার করে ভরণ পোষণ করে এক প্রকার কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। বর্তমান বাজারে চালসহ সবকিছুর দাম বৃদ্ধিতে অসহায় অবস্থায় রয়েছে বলে জানান।
তথ্যমতে, ঈদগাঁও বাসষ্টেশনের চাউল বাজার ঘুরে দেখা যায়, উন্নত ও ভাল মানের চালের বস্তা ২৪ থেকে ২৫ শত টাকা, সর্বনিম্ন বস্তা ১৬শত ৫০ থেকে ১৭ শত টাকা। তবে আরো নানা দামের চাল রয়েছে বলে জানান এক ব্যবসায়ী। অন্যদিকে কেজি প্রতি ৩৭ থেকে ৫২ টাকায় বিকিকিনি করছে চাউল। যাতে করে নিন্ম আয়ের লোকজন দৈনিক খাবার যোগার করতে গিয়ে চরম ভাবে বেকায়দায় রয়েছে প্রত্যন্ত পাড়া মহল্লার লোকজন। চাহিদা মোতাবেক খেতে চাইলেও পারছেনা অনেকে। কেনাকাটার বাহিরে সবকিছু বলে জানান গ্রামের বহু মানুষ। বাজার কোন ধরনের পদক্ষেপ না থাকায় বিপাকে রয়েছে কর্মজীবীরা। খেটে খাওয়া লোকজনের দিকে দৃষ্টি রেখে অবিলম্বে চাল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমানোর দাবী জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট নিম্ন আয়ের মানুষজন।
You must be logged in to post a comment.