গিয়াস উদ্দিন ভুলু; টেকনাফ :
টেকনাফে নাফনদীতে মাছ শিকারে সরকারের উপর মহলের নিষেধাজ্ঞা কেটে যাওয়ার পরও মাছ শিকারে বাঁধা দেওয়ায় বিক্ষুব্ধ জেলেরা উপজেলা চত্বরে মানববন্ধন পালন করেছে। এতে দরিদ্র ও অনাহারী জেলে সম্প্রদায়ের জীবিকার তাগিদে অবিলম্বে মাছ শিকারের পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
১ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১১টায় টেকনাফ উপজেলা পরিষদ চত্বরে টেকনাফ পৌরসভা ও হ্নীলা ইউনিয়নের জেলে সম্প্রদায়ের উদ্যোগে এক মানববন্ধন পালিত হয়। এতে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন পৌরসভার জালিয়া পাড়ার দিলীপ বড়ুয়া, চৌধুরী পাড়ার জাহের হোছন, নাইট্যং পাড়ার ইব্রাহীম, হোছন, জাদিমোরার ইমান হোছন, নয়াপাড়া জাইল্যা ঘাটের ছৈয়দ আলম কালু, মোহাম্মদ শাহ, আব্দু শুক্কুর, মোচনীর মমতাজ, কামাল, লেদার আলী আকবর, সরওয়ার, কবির আহমদ, হাশেম, হ্নীলা জালিয়া পাড়ার জয় দেব, সুখ বিলাস, হাছি, হ্নীলা গুদাম পাড়ার মৎস্যজীবি জেলে সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ শফি, সহসভাপতি ফরিদ আলম, সাধারণ সম্পাদক হারুন রশিদ, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।
এতে বক্তারা বলেন, ইয়াবা চোরাচালান ঠেকাতে নাফ নদীতে মাছ ধরা বন্ধ করে দেওয়া হয় কিন্তু তাতেও ইয়াবা চোরাচালান বন্ধ হয়নি। এরপর ইলিশ প্রজনন মৌসুমের নিষেধাজ্ঞা কেটে যাওয়ার পর মিয়ানমারে সহিংসতার কারণে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত নাফনদীতে মাছ শিকার বন্ধ ঘোষণা করা হয়। প্রায় ৩মাস ধরে আমরা জেলে পরিবার অনাহার-অর্ধাহারে দিনযাপন করে আসছি। এই নিষেধাজ্ঞা কেটে যাওয়ার পরও আমরা নিরীহ, অসহায় ও দরিদ্র জেলেরা চরম দূর্দিনে পড়েছি। আমাদের নাফনদীতে মাছ শিকারের সুযোগ দেওয়া হোক অথবা দরিদ্র জেলেদের জন্য রেশনিং চালুর জন্য সরকারের উর্ধ্বতন মহলের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি। সীমান্ত সংশ্লিষ্ট একসুত্র জানিয়েছে,সরকারের উর্ধ্বতন মহলের পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত নাফ নদীতে মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।
You must be logged in to post a comment.