সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / দক্ষিণ মিঠাছড়ির বিভিন্ন ভাঙন পরিদর্শনে রামু উপজেলা চেয়ারম্যান

দক্ষিণ মিঠাছড়ির বিভিন্ন ভাঙন পরিদর্শনে রামু উপজেলা চেয়ারম্যান

reaz- votto  pic 3 aug (1)প্রেস বিজ্ঞপ্তি

টানা বন্যায় কক্সবাজার রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বাঁকখালীর ঢলে এলাকার অসংখ্য রাস্তা ঘাট, ঘরবাড়ি, বেড়ি বাঁধ, চিংড়ি ঘের ও মৎস্য, কার্পেটিং, ব্রিক সলিন ও কাঁচাপাকা সড়ক বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। বন্যা কবলিত লোকজন বাসস্থান, খাদ্য, পানিসহ নানা সংকটে সময় পার করছেন। একমাস আগের বন্যার ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন না মুছতেই নতুন করে আবারো টানা বন্যায় দক্ষিণ মিঠাছড়িবাসীকে দূর্ভোগ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।

রোববার থেকে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আস্তে আস্তে কমছে পানি। সাথে সাথে ভেসে উঠছে বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি, কৃষি ও যোগাযোগ অবকাঠামোর ক্ষতচিহ্ন।

সোমবার বিকেলে দক্ষিণ মিঠাছড়ির সিকদার পাড়া ও চর পাড়ার বিভিন্ন বেড়িবাঁধ, রাস্তাঘাট ভাঙন পরিদর্শনে যান রামু উপজেলা চেয়ারম্যান রিযাজ উল আলম। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাবিবুর রহমান, দক্ষিণ মিঠাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি, বিশিষ্ট আওয়ামীলীগ নেতা ইউনুচ ভুট্টো, কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোফাজ্জেল হোসেন, উপ সহকারি প্রকৌশলী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রামু উপজেলার বিশিষ্ট আওয়ামীলীগ নেতা মাসুদুর রহমান মাসুদ, যুবলীগ নেতা নবীউল হক আরাকান, ওসমান গনি ও আনু মিয়া।

ভাঙন পরিদর্শনকালে রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম বলেন, জরুরী ভিত্তিতে রামু মিঠাছড়ির সিকদার পাড়া ও চরপাড়াসহ সকল বন্যাকবলিত এলাকার বিধ্বস্ত রাস্তাঘাট ও বেড়িবাঁধ মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হবে।

দক্ষিণ মিঠাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইউনুচ ভুট্টো জানান, টানা বন্যায় উপজেলার অতি বাঁকখালীর নিকটবর্তী দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের সিকদার পাড়া ও চর পাড়ার প্রায় ১ কিঃ মিঃ তীর এলাকা ভেঙ্গে শতাধিক বাড়ি, ৩০০ একর ফসলি জমি, নদী রক্ষা বেড়ি বাঁধসহ অসংখ্য রাস্তা ঘাট তলিয়ে গেছে। একটু বৃষ্টি হলে বাঁকখালীর পানি ঢুকে পড়ায় এই অঞ্চলের ১৫ হাজার মানুষ দিনের পর দিন পানিতে বন্দি থাকে। তাই দ্রুত বেড়ি বাঁধ ও রাস্তা ঘাট এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে পুনর্বাসন করা জরুরী হয়ে পড়েছে। দ্রুত নদী ভাঙন রোধ করা না হলে আবারো দক্ষিণ মিঠাছড়ির অধিকাংশ এলাকাসহ স্কুল, মসজিদ মাদ্রাসা, কবরস্থান, মন্দির, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, কৃষি জমি নদী ভাঙন থেকে রক্ষা করা যাবে না।

Share

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2023/01/BGB-Rafiq-24-1-23.jpeg

বিপুল পরিমাণ পপিক্ষেত ধ্বংস করল বিজিবি

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম : পার্বত্য জেলা বান্দরবানে থানচি উপজেলা গহীণ অরণ্যে মাদক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ...

%d bloggers like this: