আবারও নতুন রাজনেতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন এক সময়ের বিএনপি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টর নাজমুল হুদা। বাংলাদেশ ন্যাশনাল এ্যালায়েন্স (বিএনএ) নামে দল গঠনের ঘোষণার এক বছরের মাথায় ‘তৃণমূল বিএনপি’ নামে শুক্রবার নতুন এই দল গঠনের ঘোষণা দেন তিনি। বিএনপি থেকে বহিস্কৃত হবার পর ২০১০ সালে তিনি গঠন করেছিলেন বাংলাদেশ ন্যাশনালিষ্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ)।
রাজধানীর গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনে সংবাদ সম্মেলনে নতুন এ দলের নাম ঘোষণা দেয়ার সময় তিনি বলেন, ‘পরাজয়ের গ্লানি নিয়েই বিএনপি এখন নিষ্ক্রিয় ও নিশ্চিহ্ন প্রায়। তার ওপর বিএনপিকে অস্তিত্বহীন করতে একদলীয় শাসনে বিশ্বাসী শাসক দলের আগ্রাসী ভূমিকা তো রয়েছেই। মামলা, হামলা কোনোটি থেকে দলের নেতাকর্মীরা রেহাই পাচ্ছে না। দলের নেতৃত্বে অ-রাজনৈতিক ব্যক্তিদের প্রভাব, সিদ্ধান্তহীনতা, দ্বিধা-দ্বন্দ্ব বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচিত কমিটি গঠনে ব্যর্থ ইত্যাদি কারণে দলটি আজ মুখ থুবড়ে পড়েছে।’
বিএনপি সরকারের সাবেক এই প্রভাবশালী মন্ত্রী দলটির কঠোর সমালোচনা করে বক্তব্য দেন। মাঠ পর্যায়ে দলটির এখন ‘ত্রাহী অবস্থা’ উল্লেখ তিনি বলেন, ‘দল পরিচালিত হচ্ছে উত্তরাধিকার সূত্রে লন্ডন থেকে নির্দেশিত পথে। বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের রাজনীতিতে স্বজন-বিরোধী কঠোর অবস্থান বিএনপিকে সম্পূর্ণভাবে শাসকগোষ্ঠীর আত্মীয়দের প্রভাবমুক্ত রেখেছিল। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বেগম খালেদা জিয়ার রাজনীতি তার ঠিক বিপরীত। কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের ক্ষেত্রেই নয়, সরকারের মন্ত্রিসভা গঠন এমনকি সেনাবাহিনী প্রধান নিয়োগেও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্তে নিকট আত্মীয়দের প্রচণ্ড প্রভাব প্রতিফলিত হতে দেখা গেছে।’
সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির নেতা নাজমুল হুদা ৮মে ২০১৪ সালে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে করে ‘বিএনএ’ নামে একটি রাজনৈতিক দল ঘোষণা করেছিলেন। বাংলাদেশ ন্যাশনাল এলায়েন্সের চেয়ারম্যানও তিনি ছিলেন।
এর আগে ২০১০ সালে ‘বিএনএফ’গঠিত হওয়ার পর নাজমুল হুদা এর আহ্বায়ক হন। একপর্যায়ে মতবিরোধ দেখা দিলে সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী আবুল কালাম আজাদ তাকে ‘বহিষ্কার’ করেন। এরপর নাজমুল হুদা সংবাদ সম্মেলন ডেকে বিএনএফকে বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। পরে ওই সংঠনেরই নাম রাখেন বিএনএ।
-প্রিয়ডটকম,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.