এম.বেদারুল আলম :
প্রতি বছর বন্যা এলেই আলোচনায় আসে সদরের পিএমখালীর মন্তার গুদা। এ বছরও ব্যতিক্রম হয়নি। সদর ও রামু উপজেলার ৪ ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি মন্তার গুদার ৩টি গেইট অকেজো হওয়ার কারণে। চলতি বন্যায় পিএমখালীর ৭টি গ্রাম এবং রামুর চাকমারকুল ইউনিয়নের ৮টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ এখনো পানিবন্দি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালনাধীন পিএমখালী ও রামুর চাকমারক‚লের মধ্যবর্তী স্থানে হাঙ্গর ঘাটের উপর নির্মিত (স্লুইচ গেইট) মন্তার গুদাটি শুস্ক মওসুমে পানি সরবরাহ করে চাষাবাদ করলে ও চলতি বর্ষা মওসুমে ৩টি গেইট অকেজো হওয়ার কারণে পানি চলাচলে বাধা পড়েছে। মাত্র ২টি গেইট দিয়ে পানি দ্রুত সময়ে বের হতে না পেরে জলাবদ্ধতা সহ বন্যার পানি স্থায়ী সমস্যার সৃষ্টি করছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাকে অবহিত করা হলেও গেইট খুলে দেওয়ার অদ্যাবধি ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। ফলে বন্যার পানি সরে যেতে কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করায় ১৫টি গ্রামে বন্যার স্থায়ীত্ব দীর্ঘায়ু হওয়ার আশংকা রয়েছে। গত বছরও বর্ষা মওসুমে একই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল।
অপরদিকে মন্তার গুদার উভয় পাশে প্রভাবশালী মহল কর্তৃক নদীর পাড় দখল করে নদীর স্বাভাবিক গতিপথে পানি প্রবাহে বিঘ্ন সৃষ্টি করায় বন্যার ক্ষতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিকে মন্তার গুদার কারণে দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষের ক্ষতির বিষয়ে গতকাল সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের জরুরী প্রেসব্রিফিং এ জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেনকে অবহিত করা হলে তিনি দ্রুত পানি নিস্কাশনে ব্যবস্থা গ্রহনের কথা জানান।
পিএমখালী ও চাকমারকুলের ১৫টি গ্রামের পানিবন্দি মানুষকে রক্ষায় দ্রুত মন্তার গুদার গেইট খুলে দেয়া জরুরী।
You must log in to post a comment.