বর্তমান পরিস্থিতিতে পরিবেশ বিপর্যয় ঠেকাতে হলে সবার আগে বনাঞ্চল রক্ষা করতে হবে। গাছ লাগিয়ে নিত্য নতুন বনায়ন সৃজনে জনগণকে উত্সাহী করে, সকল উপকারভোগীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে গাছ চোরদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার মাধ্যমে সামাজিক বনায়ন রক্ষা করতে হবে। মেহেরঘোনা রেঞ্জে বাফার জোন ২০১৪-১৫ সনের উপকারভোগীদের সমন্বয় সভায় কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগীয় কর্মকর্তা শাহ-ই-আলম এসব কথা বলেন।
২৭ অক্টোবর বিকালে মেহেরঘোনা রেঞ্জ কর্মকর্তা মীর হোসেনের সভাপতিত্বে রেঞ্জ অফিস চত্বরে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় বক্তব্য রাখেন এ উপকারভোগী সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর, এম. মোহাম্মদ আলম, নুরুল আমিন। এতে উপস্থিত ছিলেন মেহেরঘোনা বিট কর্মকর্তা শ্যামাপদ মিশ্র, মাছুয়াখালী বিট কর্মকর্তা নিথিশ চক্রবর্তী, কালিরছড়া বিট কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, মেহেরঘোনা বিটের রফিকুল ইসলাম ও জিল্লুর রহমান প্রমুখ।
এসময় শতাধিক সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের অনেকেই বলেন বনায়নের কাছের লোকদের উপেক্ষা করে দূর-দূরান্তের ব্যক্তিদের উপকারভোগী হিসাবে নিয়োগ দিলে সরকারের বনাঞ্চল রক্ষার আন্দোলনের সত্ উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। এ ব্যাপারে ভাদিতলার উপকারভোগী নুরুল কবির জানান, ভাদিতলা, মেহেরঘোনা, কালিরছড়া, শিয়া পাড়ার নাগরিকদের এসমস্ত বনায়নের উপকারভোগী হওয়ার অগ্রাধিকার থাকলেও অদৃশ্য কারণে তা ব্যাহত হওয়ায় বর্তমানে দূর-দূরান্তের উপকারভোগীরা বনাঞ্চলের কোন কাজেই সহযোগিতা করছে না। ফলে বনাঞ্চল রক্ষার কাজে বনবিভাগের কর্মকর্তাদের কষ্ট ও সরকারী উদ্যোগ সর্বক্ষেত্রে ব্যাহত হচ্ছে।
এ কারণে সামাজিক বনায়ন উপকারভোগী নিয়োগের ক্ষেত্রে বনের কাছের জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করতে তিনি সহ অনেকেই এ ডিএফওর কাছে দাবী জানান।
You must be logged in to post a comment.