বিজয় দিবসে প্রথম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ মহাকাশে পাঠানোর প্রস্তুতির চেষ্টার মধ্যেই প্রলয়ংকরী হারিকেন ‘ইরমা’ দুঃসংবাদই বয়ে আনল বাংলাদেশের জন্য। বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহের মহাকাশযাত্রা পিছিয়ে যাচ্ছে।
এ বছরের ১৬ ডিসেম্বরে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ এর মহাকাশযাত্রার কথা ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় ‘ইরমা’র কারণে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ সময়মতো সম্ভব নয় বলে বাংলাদেশকে জানিয়েছে আমেরিকার ‘স্পেস এক্স’।
প্রকল্পের পরিচাকল (পিডি) মুহাম্মদ মেজবাহ জামান স্বীকার করেছেন যে, উৎপক্ষেপণের তারিখ অদল-বদল হতে পারে।
তিনি বলেন, “এখনও কিছুই নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে আমাদের আশংকাও তেমনই। ‘কোরিয়াস্যাট’সহ কয়েকটি উপগ্রহের উৎক্ষেপণের সময়সূচির (সিডিউল) রদবদল হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এ ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে কিছু বলার সময় এখনও আসেনি।”
প্রসঙ্গত, বেসরকারি মার্কিন মহাকাশ অনুসন্ধান ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘স্পেস এক্স’এর ‘ফ্যালকন-৯’ রকেটে চাপিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’-এর মহাকাশে পাঠানোর কথা ছিলো। কিন্তু ভয়াবহ হারিকেনে ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরালে উপগ্রহের লঞ্চপ্যাড দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর তাই ‘স্পেস এক্স’-এর তরফে ঢাকাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নির্ধারিত সময়ে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’-এর উৎক্ষেপণ সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২১ অক্টোবর বাংলাদেশ মন্ত্রিসভার অনুমোদনের প্রেক্ষিতে স্যাটেলাইট সিস্টেম কিনতে থেলিস অ্যালেনিয়া স্পেসের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। প্রাথমিকভাবে পাঁচ বছরের ওই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, উপগ্রহ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করবে প্রতিষ্ঠানটি।
‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’-এ রয়েছে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার। যার মধ্যে ২৬টি কেইউ-ব্যান্ডের এবং ১৪টি সি-ব্যান্ডের। ওই ট্রান্সপন্ডারগুলোর মধ্যে প্রাথমিকভাবে ২০টি ব্যবহার করবে বাংলাদেশ। বাকিগুলো ভাড়া দেওয়া হবে। উপগ্রহটির গ্রাউন্ড স্টেশন বানানো হচ্ছে গাজীপুরের জয়দেবপুর ও রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ায়।
সূত্র:হাসান আদিল/priyo.com,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.