পুরুষ সঙ্গী ছাড়াও হজে যেতে পারবেন ভারতের মুসলিম নারীরা। তবে সেই ক্ষেত্রে তাদের বয়স ৪৫ এর বেশি হতে হবে এবং একসঙ্গে অন্তত চারজন নারীকে হজে যেতে হবে।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক সাবেক আমলা আফজাল আমনুল্লার নেতৃত্বে গঠিত হজ পর্যালোচনা কমিটি সরকারের কাছে এই গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি বাংলা।
আফজাল আমানুল্লা দাবি করেছেন, এই নীতি বাস্তবায়নের জন্য তারা ইতিমধ্যেই সৌদি আরব কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতিও পেয়েছেন। আগামী বছর থেকে ৪৫-ঊর্ধ্ব মহিলাদের কোনও দল যদি হজে যেতে চান, তাদের সৌদি ভিসা পেতে কোনও সমস্যা হবে না।
ভারতের সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভিও জানিয়েছেন, হজযাত্রার প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ও উন্নত করার চেষ্টা হয়েছে। সেই সঙ্গে এই নীতিতে কিছু সংস্কারমুখী পদক্ষেপেরও প্রস্তাবনা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই প্রস্তাবগুলোর ব্যাপারে সরকারের মনোভাব খুবই ইতিবাচক। আমার বিশ্বাস, এর বাস্তবায়নে কোনও ধরনের সমস্যা হবে না। আর ২০১৮’র হজযাত্রা এই নীতি অনুসরণ করেই হবে।
সৌদি কর্তৃপক্ষ ও ভারতের মধ্যে যাই সমঝোতা হোক না কেন নারীদের একা হজে যাওয়াকে ইসলামবিরোধী বলেছেন ভারতের মুসলিম ধর্মীয় নেতারা। জমিয়ত-ই-উলেমা হিন্দের মুফতি হুজাইফা কুরেশিও বলছেন, ‘নারীদের হজে যেতে মাহ্রাম (পুরুষ সঙ্গী) সঙ্গে থাকতেই হবে।’
দিল্লির ফতেহপুরি মসজিদের শাহী ইমাম মুফতি এম মুকররম বলেছেন, ‘ইসলামিক আইন ও মুসলিম পার্সোনাল ল-তে পরিষ্কার বলা আছে কোনও মহিলাই তার মাহ্রাম (পুরুষ সঙ্গী) ছাড়া সফর করতে পারবেন না।’
মুফতি এম মুকররম আরও বলেন, মাহ্রাম মানে তার স্বামীও হতে পারেন, কিংবা অন্য কোনও পুরুষ সঙ্গী যার সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করা যায় না। মুসলিম মহিলাদের জন্য এই শর্ত মানাটা বাধ্যতামূলক।
তবে এই ব্যাখ্যার সঙ্গে আদৌ একমত নন ভারতীয় মুসলিম মহিলা আন্দোলনের কর্ণধার জাকিয়া সোমান। তিনি বলেন, ‘কোন দেশের মহিলারা কী শর্তে হজে যেতে পারবেন, সেটা নির্ভর করে সেই দেশের সঙ্গে সৌদি কর্তৃপক্ষের বোঝাপড়ার ওপর।’
জাকিয়া সোমান আরও বলেন, হজ পর্যালোচনা কমিটির এ প্রস্তাবকে আমরা স্বাগত জানাই। এ ক্ষেত্রে বরং মেয়েদের বয়সের সীমা বা দল বেঁধে যাওয়ার শর্তটাও তুলে দেওয়া উচিত। যাতে সব বয়সের মেয়েদেরই হজে যাওয়ার অনুমতি মেলে।
সূত্র:আয়েশা সিদ্দিকা শিরিন-priyo.com;ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.