সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / পূজার নিরাপত্তার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন : প্রতিমা নির্মাণের কাজ শেষ : চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

পূজার নিরাপত্তার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন : প্রতিমা নির্মাণের কাজ শেষ : চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

পূজার নিরাপত্তার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন : প্রতিমা নির্মাণের কাজ শেষ : চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

পূজার নিরাপত্তার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন : প্রতিমা নির্মাণের কাজ শেষ : চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

অজিত কুমার দাশ হিমু, কক্সভিউ:

শরতের শুভ্র কাশফুলের স্নিগ্ধতা আর সাদা মেঘের ভেলায় জানান দিয়েছে দেবী দুর্গার আগমনি বার্তা। বছর ঘুরে আবারো মর্তে এলেন দুর্গতিনাশিনী মা দুর্গা। সব মন্দির ও মণ্ডপে প্রতিমা নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। শিল্পীর নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় একটু একটু করে সেজে উঠছেন সন্তানসহ দেবী দুর্গা। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি মাথায় রেখে প্রশাসনকে দুর্গোত্সবের নিরাপত্তা বিধানের আহবান জানিয়েছেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ।

এদিকে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহত্ এ উত্সবকে ঘিরে এরইমধ্যে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

১২ অক্টোবর পবিত্র মহালয়ায় চণ্ডীপাঠের আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গাকে মর্তে বরণ করে নিয়েছেন ভক্ত-পূজারীরা। আগামী ১৯ অক্টোবর সোমবার ষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে শুরু হবে পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা। মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া উত্সবের হাওয়া বইছে এখন সনাতন ধর্মাবলম্বী প্রতিটি ঘরে ঘরে।

পূজাকে কেন্দ্র করে সর্বত্র যেন উত্সবের আমেজ। কেউ কেউ ব্যস্ত নিজেকে উত্সবের রঙে রাঙাতে নতুন পোশাক আর শাঁখা-সিঁদুর কেনায়। কেউবা ব্যস্ত প্রতিমা সাজানোর সামগ্রী কিনতে। শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনে প্রশাসনের সর্বাত্মক সহায়তা চান বাংলাদেশ সার্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদ, কক্সবাজার জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট রনজিত দাশ ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা।

কক্সবাজারস্থ রাম কৃষ্ণ মিশনের পৌরহিত পন্ডিত শ্রী বিজয় কৃষ্ণ চক্রবর্তী জানান, আগামী ১৯শে অক্টোবর ষষ্ঠী তিথিতে বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে শারদীয় দুর্গোত্সবের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে ২২ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে। এবার মা দুর্গা ঘোড়ায় চেপে মর্ত্যে আগমন করেছেন এবং আগামী ২২ অক্টোবর দশমী বিহিত পূজা সমাপন ও দর্পণ বিসর্জনের মধ্যদিয়ে দেবী আবার স্বর্গে ফিরে যাবেন গজে (হাতি)তে করে। এতে সুজলা, সুফলা শষ্য শ্যামল হয়ে উঠবে বসুন্ধরা। হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী এ বছর নবমী ও দশমী তিথির পূজা একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে জানা তিনি।

অপরদিকে দুর্গাপূজার নিরাপত্তা বিধানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলে জানালেন কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট রনজিত দাশ জানান, এবার জেলায় মোট ২৭৬টি মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গোত্সব। এরমধ্যে কক্সবাজার পৌরসভা-সদর উপজেলায় ৪০টি প্রতিমা ও ৩২টি ঘট, রামু উপজেলায় ১৮টি প্রতিমা ও ৯টি ঘট, চকরিয়া পৌরসভা-উপজেলায় ৪১টি প্রতিমা ও ৩৫টি ঘট, পেকুয়া উপজেলায় ১১টি প্রতিমা ও ৬টি ঘট, কুতুবদিয়া উপজেলায় ১২টি প্রতিমা ও ২৭টি ঘট, মহেশখালী উপজেলায় ১টি প্রতিমা ও ৩১টি ঘট, উখিয়া উপজেলায় ৫টি প্রতিমা ও ৮টি ঘট এবং টেকনাফ উপজেলায় ৫টি প্রতিমা পূজার মন্ডপ স্থাপিত হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এ বছর ১৬টি পূজা মন্ডপ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ উত্সব জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের। এ উত্সবে সকলকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে অংশ গ্রহন করার জন্য আহবান জানান তিনি।

বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রত্যাশা, এবার এই মাতৃশক্তি অসুর শক্তির বিনাশ করে মানবজাতিকে দেখাবে শুভবুদ্ধির পথ।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2023/01/BGB-Rafiq-24-1-23.jpeg

বিপুল পরিমাণ পপিক্ষেত ধ্বংস করল বিজিবি

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম : পার্বত্য জেলা বান্দরবানে থানচি উপজেলা গহীণ অরণ্যে মাদক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/