পেকুয়ার ৭ ইউনিয়নে নির্বাচন : সুষ্ঠু নির্বাচন আদায়ে প্রশাসনের প্রস্তুতি সম্পন্ন কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম

মুকুল কান্তি দাশ; চকরিয়া :

কক্সবাজারের উপকূলীয় উপজেলা পেকুয়ার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন ৩১ মার্চ বৃহস্পতিবার। আর এই নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন করতে পেকুয়ায় ২৮ মার্চ থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশের একাধিক স্টাইকিং ফোর্স ও মোবাইল টিম নিয়োজিত করা হয়েছে।

বুধবার ৭ ইউনিয়নের ৬৩ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারদের কাছে ব্যালট বাক্সসহ প্রয়োজনীয় নির্বাচন সামগ্রী হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন নিশ্চিত করেন। এসব কেন্দ্রের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত পুলিশ ও আনসার বরাদ্দ করা হয়েছে। ইতিপূর্বে নির্বাচনী প্রচারকালে বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ঘটায় প্রতিটি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ তালিকাভুক্ত করে বাড়তি নিরাপত্ত ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।

উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন থেকে নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ৩২জন, সংরক্ষিতসহ সাধারণ সদস্য পদে লড়ছেন ৩৪০ জন প্রার্থী। বৃহস্পতিবার দেশের দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে পেকুয়ার ৭ ইউনিয়নের ৬৩টি কেন্দ্রে ১লাখ ১হাজার ১১১জন ভোটর স্ব-স্ব কেন্দ্রে ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে পাঁচ বছরের জন্য তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করবেন।

নির্বাচন কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসনে বলেন, নির্বাচনী আইন অনুযায়ী কেন্দ্রে কোন ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সাথে সাথে বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে। ৭ ইউনিয়নের মধ্যে পেকুয়া সদর ও রাজাখালী ইউনিয়নে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাসান মুরাদ চৌধুরী, বারবাকিয়া, টৈটং ও শিলখালী ইউনিয়নে পেকুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এইচ এম মুনিরুজ্জামান রাব্বানী ও মগনামা এবং উজানটিয়া ইউনিয়নে পেকুয়া উপজেলা প্রকৌশলী জাহেদ চৌধুরী রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন।

বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা যায়, পেকুয়া সদর ইউনিয়নে মোট ভোটার রয়েছে প্রায় ২৬ হাজারেরও বেশি। রাজাখালী ইউনিয়নে মোট ভোটার রয়েছে প্রায় ১৬ হাজারের বেশি। বারবাকিয়ায় মোট ভোটার রয়েছে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার। মগনামায় মোট ভোটার রয়েছে প্রায় ১৪ হাজার। টৈটংয়ে প্রায় ১৭ হাজার। উজানটিয়ায় মোট ভোটার রয়েছে প্রায় সাড়ে ৯ হাজারের বেশি। আর শিলখালীতে মোট ভোটার রয়েছে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার। ৭ ইউনিয়ন পরিষদের এ নির্বাচনে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ, প্রধান বিরোধীদল জাতীয় পার্টি ও বিএনপি ছাড়াও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন এবং স্বতন্ত্র পরিচয়ে জামায়াত ও আওয়ামীলীগ বিএনপি’র একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন।