এম.ছগির আহমদ আজগরী; পেকুয়া :
কক্সবাজারের পেকুয়ায় মামলাবাজ কে এই বেনসন বাবুল তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এছাড়া তিনি আ’লীগের কে? বিষয়টিও খোলাসা করে জানতে চায় সকল শ্রেনী পেশার মানুষ। এলাকায় বাবুল চৌধুরী হিসেবে চিনে তাকে সবাই। নাম তার আনোয়ারুল আজিম চৌধুরী বাবুল। যাকে এলাকাবাসী বেনসন বাবুল হিসেবে তাকে চিনে ও জানে। কথায় কথায় মামলার হুমকি। আবার তার কথার মধ্যে শপথ থাকে বেশি। সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর সংঘর্ষের ঘটনায় তিনি একটি মামলার বাদি। গত চারদিন আগে মগনামা ইউনিয়নের ফুলতলা ষ্টেশনে পাউবোর স্লুইচ গেইটের আধিপত্য নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষ ত্রি গ্রামবাসির মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এতে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ হয়েছে বিএনপির দু’গ্রুপের মধ্যে। মামলার বাদি হয়েছেন বাবুল চৌধুরী। সংঘর্ষের ঘটনায় বাবুল ক্ষতিগ্রস্ত কোন পক্ষ নন। তাছাড়া আ’লীগ ও বিএনপির মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়নি। এরপরেও মামলার বাদি বেনসন বাবুল চৌধুরী।
পেকুয়া থানায় গত ৪ জুন ওই মামলা রেকর্ড হয়। মামলায় আসামী করা হয়েছে ২৯ জনকে। এর মধ্যে ৭জন আসামী ক্ষমতাসীন দল আ’লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। এদের অধিকাংশ মূলদল আ’লীগ ও সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী। চেয়ারম্যান ওয়াসিমকে ১ নং আসামী করা হয়েছে। অপর আসামীরা মগনামা ইউনিয়নের ১১টি গ্রামের বাসিন্দা। সংঘর্ষ হয়েছে উত্তরমগনামার ফুলতলা ষ্টেশনে নিকট তিনটি গ্রামের মধ্যে। কিন্তু আসামী হয়েছে দক্ষিণ মগনামার কালারপাড়া, কোদাল্লাদিয়া, বেদেরবিলপাড়া, চান্দারপাড়া, মধ্য মগনামার মহুরীপাড়া, পশ্চিমকুল, সিকদারপাড়া, নুইন্নারপাড়া, করলিয়াপাড়া, পূর্ব মগনামার বাজারপাড়ার লোকজনকে।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার সাথে এ সব পাড়ার কোন লোকজনের সম্পৃক্ততা নেই। অথচ অহেতুক দায়েরকৃত মামলায় তাদের আসামি করা হয়েছে। মগনামা ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা হারুনমাতবরপাড়া এলাকার ওলামিয়ার ছেলে নাজেম উদ্দিন এ মামলায় জেলে গেছেন। ওইদিন ফুলতলা ষ্টেশন থেকে বাবুল চৌধুরী যুবদল নেতা খালেদ মোশারফ নাজুকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়। মামলায় আফজলিয়াপাড়ায় সতের জন আসামী হয়েছে। এদের ৫ জন ওই পাড়ায় আ’লীগের কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। বাবুল চৌধুরীর মামলায় আসামি হয়েছে মুহুরীপাড়া এলাকার সাঁচি মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ কাসিম। ওই ব্যক্তি ইউনিয়ন আ’লীগের বর্তমান কমিটির প্রভাবশালী একজন নেতা। বাবুল চৌধুরীকে এলাকার মানুষ অনেক আগে থেকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি এক সময় মগনামা ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ছিলেন। ক্ষমতার অপব্যবহারে লিপ্ত থেকে এলাকায় চাঁদাবাজি সহ অপতৎপরতায় লিপ্ত থাকায় তার সময়ে আ’লীগ সবচেয়ে বেশী কলুষিত হয়েছে মগনামায়। ফলে তাকে মানুষ আর নেতা হিসেবে দেখতে চাইনি। মুখে আ’লীগ কলপে বিএনপি। রাতে বিএনপি দিনে আ’লীগ এ হল তার চরিত্র। বিএনপির ক্ষমতার সময়ে আ’লীগের সাইনবোর্ড ছিল তার বাড়ির সামনে। কিন্তু রাতে আড্ডা জমাত তার বাড়িতে বিএনপির নেতারা। কথায় কথায় শপথ আর মিথ্যা ফুলঝুরি এ হল বাবুল চৌধুরী। এলাকায় জনবিচ্ছিন্ন ও গণধিকৃত একজন ব্যক্তি তিনি বাবুল চৌধুরী। এক সময় মেম্বার পদে নির্বাচন করেছেন। ভোট পেয়েছিলেন অর্ধশত। জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
প্রতিবছর মালেক শাহ হুজুরের ওরসের সময়ে গাড়ী থেকে টাকা আদায় করেন বাবুল চৌধুরী। এলাকায় আরেকটি নাম তার মামলাবাজ বাবুল হিসেবে সবাই চিনে। মামলা কন্টাকে নিয়ে বাদী হন ওই চৌধুরী। তবে সম্প্রতি দায়েরকৃত মামলায় ধরা খেলেন এ চৌধুরী। নিরীহ মানুষকে আসামি করায় চরম অসন্তোষ ও তুপের মুখে পড়েছেন মামলাবাজ এ চৌধুরী।
এ ব্যাপারে মুহুরীপাড়া এলাকার মোহাম্মদ কাসিম প্রকাশ কালু জানায়, আসলে বাবুল চৌধুরী বিএনপি জামায়াতের একজন গুপ্তচর। তার কাজ হচ্ছে চাঁদাবাজি ও মামলাবাজি করা। এ মামলায় আ’লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে।
You must be logged in to post a comment.