সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / সাম্প্রতিক... / পেকুয়ায় সংরক্ষিত বনের ভিলিজারী জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারীর ধাওয়া খেয়েও নিরব বনবিভাগ

পেকুয়ায় সংরক্ষিত বনের ভিলিজারী জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারীর ধাওয়া খেয়েও নিরব বনবিভাগ

এস.এম.ছগির আহমদ আজগরী; পেকুয়া :

কক্সবাজারের পেকুয়ার সংরক্ষিত বনাঞ্চলের বিরোধীয় ভিলিজারী জায়গায় পাকা অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারীর ধাওয়া খেয়েও নিরব বনবিভাগ। যা নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন সমালোচনা ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবনিয়া গ্রামের দক্ষিণজুম ভিলিজারপাড়া এলাকায়।

জানা গেছে, সম্প্রতি শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবনিয়া এলাকার সৌদি প্রবাসী আছদ আলীর পুত্র জারুলবনিয়া ষ্টেশনের ধান চাউল ব্যবসায়ী মোঃ শফিউল আলম সংরক্ষিত বনবিভাগের বিরোধীয় জায়গায় পাকা অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ শুরু করেন। এ নিয়ে স্থানীয় ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন, তার পিতা মারা যাওয়ার পূর্বে সংরক্ষিত বনবিভাগের বিরোধীয় ভিলেজারী জায়গাসহ সমুদয় সহায় সম্পদ তার পিতার ২পরিবারের ওয়ারিশগণের নামে ভাগজাত নামা করে যান। কিন্তু ওয়ারিশগণ নিজ নিজ উদ্যোগে সংগৃহিত বসতবাড়িতে পরিবার পরিজন নিয়ে বিদ্যমান থাকায় উক্ত পৈত্রিক সহায় সম্পদগুলোর ভাগজাতনামা অকার্যকর থেকে যায়।

অভিযুক্ত প্রভাবশালী মোঃ শফিউল আলম উক্ত ভাগজাতনামা কার্যকর না করে গত ১ ফেব্রুয়ারী থেকে সংরক্ষিত বনবিভাগের বিরোধীয় ভিলেজারী জায়গায় পাকা অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ শুরু করে। এতে মোঃ আলী প্রতিবাদ জানিয়ে বাধা দিলে অভিযুক্তের নেতৃত্বে তার লোকজন, ভুক্তভুগীকে দা, কিরিচ, লোহার রড় নিয়ে তাকে ধাওয়া করে। এসময় সে প্রাণ রক্ষার্থে নিজ বাড়ীতে ফিরে যান এবং বিষয়টি স্থানীয় ভাবে সমাধানের চেষ্টা চালান। কিন্তু বিবাদী বাদীর স্বত্ত তার পিতার নিকট বিক্রয় করেছে মর্মে ভূয়া স্ট্যাম্প প্রদর্শনের মাধ্যমে বিরোধীয় জায়গায় জোরপূর্বক সীমানা প্রাচীর ও অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখেন। এতে বাদী নিরুপায় হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পেকুয়া থানা ও রেঞ্জ কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। পরে, বিষয়টি ভুক্তভুগী স্থানীয় সংবাদকর্মীদের নজরে দিলে তারা সরোজমিন ঘটনাস্থল ঘুরে পত্র পত্রিকায় একাধিক সচিত্র সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশ ও প্রচার করে। পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশে তোলপাড়ে টনক নড়ে সংশ্লিষ্টদের। এক পর্যায়ে স্থানীয় বারবাকিয়া রেঞ্জের বিট অফিসার তৌহিদুল ইসলাম ভুঁইয়ার পরামর্শে পাহাড়চাদা বনবিট কর্মকর্তা মোঃ আলী হোসনের নেতৃত্বে ৪/৫জনের একটি টিম সরোজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান ও সংরক্ষিত বনবিভাগের বিরোধীয় ভিলেজারী জায়গায় প্রভাবশালী শফিউল আলমের পাহাড় কেটে ভুমির শ্রেণী পরিবর্তন ও স্থাপনা নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। পরে, বিষয়টি নিয়ে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারী শফিউল আলম বনবিভাগ ও থানা পুলিশের নির্দেশনার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে লুকোচুরিতে মেতে সুযোগ বুঝে স্থাপনা নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রভাবশালী শফিউল আলম স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত রাখলে স্থানীয়রা বিষয়টি বনবিভাগের উর্ধ্বতন মহলকে অবহিত করে। খবর পেয়ে বনবিভাগের উর্ধ্বতন মহল তাৎক্ষণিক স্থানীয় বনবিভাগকে অভিযুক্ত শফিউল আলমের পাকা সীমানা প্রাচীর ও স্থাপনা নির্মাণ বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। নির্দেশ পেয়ে অফিসার আলী হোসনের নেতৃত্বে পাহাড়চাদা বনবিটের একদল লোক সরোজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান।

অভিযুক্ত শফিউল আলম ঘটনাস্থলে বনবিভাগের লোকজনদের দেখতে পেয়ে তার লোকজন নিয়ে ধাওয়া করেন। ধাওয়া খেয়ে বন বিভাগের লোকজন তাৎক্ষনিক সেখান থেকে পালিয়ে যান।

এদিকে, চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার পর অভিযুক্ত শফিউল আলম ও তার লোকজন আরো বেপরোয়া হয়ে রাতদিন সমানতালে বিরোধীয় স্বত্বে পাকা সীমানা পিলার ও স্থাপনা নির্মান অব্যাহত রেখেছেন। যা নিয়ে এলাকায় চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা। বনবিভাগের লোকজনদের অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারী প্রভাবশালী শফিউল আলম ও তার লোকজনের ধাওয়ার ঘটনার বিষয়ে জানতে পাহাড়চাদা বিট অফিসার মোঃ আলী হোসনের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এঘটনায় জড়িতের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বনবিভাগ।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

ঈদগাঁওর সংবাদকর্মী আবু হেনা সাগরের মাতা অসুস্থ : দোয়া কামনা 

  বার্তা পরিবেশক : কক্সবাজারে ঈদগাঁও উপজেলার সংবাদকর্মী এম আবুহেনা সাগরের মাতা অসুস্থ হয়ে চট্টগ্রামের ইবনে ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/