সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / জীব ও প্রকৃতি / প্রাণী পাচার বা হত্যার তথ্য দিলেই মিলবে পুরস্কার

প্রাণী পাচার বা হত্যার তথ্য দিলেই মিলবে পুরস্কার

বনের ভিতরে ও বাইরে পাঁচ ক্যাটাগরির প্রাণী পাচার বা হত্যা সংক্রান্ত তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে পুরস্কার ঘোষণা করে বিধিমালা জারি করেছে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়। বিধিমালা অনুযায়ী পাঁচ ধরনের বন্যপ্রাণীর ক্ষেত্রে দুই শ্রেণির তথ্য দিয়ে পুরস্কার জেতা যাবে। সর্বোচ্চ পুরস্কার ৫০ হাজার টাকা।

জানা গেছে, বাঘের ক্ষেত্রে অপরাধে জড়িত ব্যক্তি বা বাঘসহ কোনো ব্যক্তিকে বনাঞ্চলের ভেতরে ধরার ক্ষেত্রে তথ্যের জন্য ৫০ হাজার টাকা, বনাঞ্চলের বাইরের তথ্যের জন্য ২৫ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়া হবে। হরিণের বিষয়ে বনের ভেতরে অপরাধ উদঘাটনের তথ্য দেয়ার ক্ষেত্রে ২০ হাজার টাকা এবং বনের বাইরে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার হিসেবে দেয়া হবে।

কুমির ও হাতির ক্ষেত্রে আসামি ও প্রাণীসহ বনাঞ্চলের অভ্যন্তরে তথ্যের জন্য ৩০ হাজার টাকা, আসামি ও প্রাণীসহ বনাঞ্চলের বাইরে ১৫ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়া হবে। কচ্ছপ বা সাপের তথ্য দিলে দুটি ক্ষেত্রে যথাক্রমে ১৫ হাজার টাকা ও ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়ার কথা বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে। পাখি ও অন্যান্য বন্যপ্রাণীর ক্ষেত্রে বনের ভেতরে অপরাধ উদঘাটনে তথ্য দিয়ে ১০ হাজার টাকা ও বনের বাইরে তথ্যের জন্য মিলবে আট হাজার টাকা।

বিধিমালায় বলা হয়, কোনো তথ্য প্রদানকারীর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করে বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত অপরাধ উদঘাটন করা সম্ভব হলে তথ্য প্রদানকারীকে আর্থিক পুরস্কার দেয়া যাবে। অপরাধ উদঘাটন করা সম্ভব না হলেও পরে আলামতসহ অপরাধ উদঘাটন বা অপরাধীকে শনাক্ত ও আটক করা হলে তথ্য প্রদানকারীকে আর্থিক পুরস্কারের জন্য বিবেচনায় আনা যাবে।

অপরাধ সংঘটনকারীকে শনাক্ত করা না গেলে, অপরাধ সংঘটনকারীকে আটক বা হাতেনাতে ধরা সম্ভব না হলে, অপরাধী শনাক্ত হলেও বন্যপ্রাণী উদ্ধার করা সম্ভব না হলে তথ্যদাতা ব্যক্তি পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন না বলে বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়।

এতে আরও বলা হয়, সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বা ওয়ার্ডেন বা অতিরিক্ত প্রধান ওয়ার্ডেন বা বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইউনিটের মাধ্যমে তথ্য প্রদানকারীকে সর্বোচ্চ ৭ দিনের মধ্যে পুরস্কারের অর্থ দেবেন। তবে কোনো তথ্য প্রদানকারী যদি জীবনের ঝুঁকির ভয়ে নিজের পরিচয় গোপন রাখতে চান, তবে তথ্য প্রদানকারীকে একটি পরিচিতি সংখ্যা আইসিএন দিয়ে শনাক্ত করতে হবে। পরবর্তী সময়ে সব যোগাযোগ আইসিএন অনুযায়ী করতে হবে।

বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত অপরাধের তথ্য আগে প্রকাশিত হলে, কোনো তথ্য বেনামে দেয়া হলে, তথ্য প্রদানকারী নিজেই অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলে এবং অন্য কোনো বৈধ কারণ থাকলে তথ্য দেয়া ব্যক্তি আর্থিক পুরস্কারের জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন বলে বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।

 

সূত্র: somoynews.tv – ডেস্ক।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

তুমব্রু সীমান্তে চোরাই পথে আনা ২৭টি মহিষ জব্দ করেছে বিজিবি

কামাল শিশির; রামু : পার্বত্য জেলা বান্দরবানের নাইক্ষ‍্যংছড়ির উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে মায়ানমার থেকে ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/