সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / বঙ্গোপসাগরময় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে জলদস্যু : আতঙ্কে জেলেরা : নিরব প্রশাসন

বঙ্গোপসাগরময় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে জলদস্যু : আতঙ্কে জেলেরা : নিরব প্রশাসন

Fishing Bot - Ajit Himu 25-11-2015 (news & 1jpic) f1অজিত কুমার দাশ হিমু; কক্সভিউ:

বঙ্গোপসাগরে চলছে মাছ ধরার ভরা মৌসুম। এ বিশাল জলসীমায় আধিপত্য বিস্তার করে আসছে অন্তত ১৫টি জলদস্যু গ্রুপ। আর মৌসুমের শুরুতেই জলদস্যুতার কবলে পড়ছে জেলেরা। জলদস্যুরা সাগরে মাছধরার ট্রলারে হামলা চালিয়ে মালামাল লুটের পাশাপাশি মাঝিদের অপহরণের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায়ও করছে। এতে জেলে ও ট্রলার মালিকদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম আতংক। আর কোস্টগার্ড বলছে, নানা সংকট ও সমস্যার কথা।

জানা যায়, বাংলাদেশে মাছের চাহিদার সিংহভাগ যোগান আসে বঙ্গোপসাগর থেকে। হাজার হাজার নৌকা এবং ট্রলার বঙ্গোপসাগরের বিশাল জলসীমায় চষে বেড়ায় মাছের আশায়। আর এ কাজে সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে কয়েক লাখ জেলে। কিন্তু এসব জেলেরা অনেকটা জিম্মি হয়ে পড়ছে সাগরের জলদস্যু গ্রুপগুলোর কাছে। সাগর ও উপকূলে সক্রিয় রয়েছে এ ধরণের অন্তত ১৫টি গ্রুপকে শনাক্ত করেছে র‌্যাব এবং কোস্টগার্ড। শনাক্ত হলেও নানা সমস্যার কারণে জলদস্যু গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে সহজে ব্যবস্থা নিতে পারছেনা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

সাম্প্রতিক সময়ে বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন অংশে শত শত মাঝি-মাল­াকে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায় করেছে এ চক্রের সদস্যরা।

জেলে ও ফিশিং ট্রলার মালিকদের মতে, শীতের সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ভরা মৌসুম এখন। আর শুরুতে মাছও ধরা পড়ছে প্রচুর। কিন্তু প্রতিদিন সাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে জলদস্যুর কবলে পড়তে হচ্ছে জেলেদের।

বিশেষ করে মহেশখালীর সোনাদিয়া থেকে সুন্দরবনের বিভিন্ন পয়েন্ট পর্যন্ত জলদস্যুরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বঙ্গোপসাগরময়। জেলেদের জালে হানা দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। এতে চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন তারা। অন্যদিকে ফিশিং ট্রলার মালিকদের মধ্যে নেমে এসেছে চরম হতাশা।

বঙ্গোপসাগর দাপিয়ে বেড়ানো বিভিন্ন এলাকার এসব ডাকাতরা এখন সোনাদিয়াদ্বীপ সহ বিভিন্ন উপ-দ্বীপে জড়ো হয়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে। এ কারণে জেলে ও ফিশিং বোট মালিকদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ অবস্থায় সাগরকে জেলেদের জন্য নিরাপদ করার দাবি জানিয়ে দ্রুত প্রশাসনকে সাগরে ও স্থলে যৌথ অভিযান চালানোর দাবী জানিয়েছেন কক্সবাজার ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মুজিবুর রহমান।

আর কক্সবাজারে দায়িত্বরত কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার নান্নু মিয়া জানালেন, জনবল ও নৌ-যান সংকটের মধ্যেও তারা যথাসাধ্য চেষ্টা চালাচ্ছেন। কিন্তু উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালালেও নানা সমস্যার কারণে তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে না পারলেও কিছু কিছু জলদস্যু গ্রুপকে শনাক্ত করতে পেরেছেন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ফলে শনাক্ত করা এসব জলদস্যূ গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালানোর পরিকল্পনা নিচ্ছে র‌্যাব এবং কোস্টগার্ড।

অনুসন্ধানে জানা যায়, মত্স্য আহরণ মৌসুম হওয়ায় জেলার সকল ফিশিং বোট বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে চলে যায়। জেলেরা সাগরে চলে যাওয়ার সাথে সাথে সোনাদিয়া সহ বিভিন্ন উপদ্বীপে অবস্থানকারী দুর্ধর্ষ জলদস্যু নাগু মেম্বারের পুত্র নকিব বাহিনী, দস্যু সম্রাট জাম্বু বাহিনী, সরওয়ার বতইল্যা বাহিনীর আশ্রয়ে মাতারবাড়ী, কুতুবদিয়া, হাটখালী, বদরখালী, চকরিয়া, মগনামা, পেকুয়া বাঁশখালীসহ বিভিন্ন এলাকার কুখ্যাত জলদস্যুরা সোনাদিয়ায় জড়ো হতে থাকে। মহেশখালীর সোনাদিয়াদ্বীপের উপকূল মাছ ধরার প্রধান রুট বঙ্গোপসাগরের মোহনা হওয়ায় নির্বিঘ্নে ডাকাতি চালাতে এসব জলদস্যুরা এখানে জড়ো হয়েছে বলে জেলেরা জানিয়েছেন।

অপরদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বোট মালিক জানান, ওইসব জলদস্যুরা মুঠোফোনে চাঁদা চেয়ে হুমকি দিচ্ছে বিভিন্ন ফিশিং বোট মালিকদের। টাকা না দিলে তাদের বোট লুট করা হবে, মাঝি মাল্ল­াদের হত্যার হুমকিও দিয়েছে। কক্সবাজারের ছোট-বড় ফিশিং বোট রয়েছে সাড়ে ৪ হাজার। আর ৫ লাখ মানুষ মত্স্য আহরণ ও বিক্রিসহ নানা প্রক্রিয়ায় জড়িত।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2023/01/BGB-Rafiq-24-1-23.jpeg

বিপুল পরিমাণ পপিক্ষেত ধ্বংস করল বিজিবি

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম : পার্বত্য জেলা বান্দরবানে থানচি উপজেলা গহীণ অরণ্যে মাদক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/