মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন শুরু হয়েছে। ১১ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুর দুইটার দিকে উখিয়ার বালুখালীতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রম শুরু হয়। এদিকে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে গতকাল সোমবার রাতে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হলেন রোহিঙ্গা নারী রুবিয়া খাতুন। রাত ৯টার দিকে রুবিয়া খাতুন প্রথম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হন।
রুবিয়া খাতুনের বয়স ৬০ বছর। বাবার নাম নাগু আর মায়ের নাম সুফিয়া খাতুন। এই নারী নিবন্ধনের সময় জন্মস্থান মিয়ানমার উল্লেখ করলেও জন্মতারিখ অজানা বলে জানিয়েছে। রুবিয়া খাতুনের জাতীয়তা রোহিঙ্গা।
১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান জানান, সোমবার পরীক্ষামূলকভাবে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন শুরু হওয়ার পর মোট ২০ জন রোহিঙ্গার নিবন্ধন করা হয়। এর মধ্যে ৮ জনকে আমরা পরিচয়পত্র তুলে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গতকাল নিবন্ধন সেলের প্রধান কর্নেল শফিউল আজম জানান, রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। নিবন্ধনের সময় ১০ আঙ্গুলের ছাপ ও ছবি নেওয়া হবে। তাদের মিয়ানমারের ঠিকানা, নাম, পিতা-মাতার নামসহ নানা বিষয়ে তথ্য নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও স্থানীয় বৌদ্ধরা পশ্চিমাঞ্চলের রাখাইনদের বাড়ি-ঘর ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে। তাদের এই বর্বরতা ও গণহত্যা থেকে বাঁচতে গত ১৫ দিনে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিলেও তাদের সংখ্যা সম্পর্কে নিশ্চিত নন কেউই। আর সেই লক্ষ্যেই অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন শুরু হয়েছে।
সূত্র:আশরাফ ইসলাম/priyo.com,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.