সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / অপরাধ ও আইন / বিশ্বজিৎ হত্যা : ২ জনের ফাঁসি, চারজনের যাবজ্জীবন

বিশ্বজিৎ হত্যা : ২ জনের ফাঁসি, চারজনের যাবজ্জীবন

রাজধানীর পুরান ঢাকার দর্জি দোকানি বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় দু’জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে রোববার বিকেলে ঘোষিত রায়ে নিম্ন আদালতের দেয়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আটজনের মধ্যে দু’জনের দণ্ড বহাল, চারজনের যাবজ্জীবন, চারজনকে খালাস এবং বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দেয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে আদালত সঠিক রিপোর্ট প্রদানে ব্যর্থতায় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেন।

২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর বহুল আলোচিত ওই হত্যা মামলায় নিম্ন আদালত আটজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। ওই রায় ঘোষণার এক সপ্তাহের মধ্যে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিরা।

দীর্ঘ শুনানি শেষে রোববার বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রফিকুল ইসলাম শাকিল ও রাজন তালুকদারের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। খালাসপ্রাপ্ত চারজন হলেন- সাইফুল ইসলাম, কাইয়ুম মিঞা টিপু, এ এইচ এম কিবরিয়া ও গোলাম মোস্তফা।

নিম্ন আদালতের আদেশে মৃতুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রফিকুল ইসলাম শাকিল, মাহফুজুর রহমান নাহিদ, এমদাদুল হক এমদাদ, জিএম রাশেদুজ্জামান শাওন, সাইফুল ইসলাম, কাইয়ুম মিঞা টিপু, রাজন তালুকদার ও মীর মো. নূরে আলম লিমন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- এ এইচ এম কিবরিয়া, ইউনুস আলী, তারিক বিন জোহর তমাল, গোলাম মোস্তফা, আলাউদ্দিন, ওবায়দুর কাদের তাহসিন, ইমরান হোসেন, আজিজুর রহমান, আল-আমিন, রফিকুল ইসলাম, মনিরুল হকপাভেল, মোশাররফ হোসেন ও কামরুল হাসান। তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত করা হয়।

গত ১৭ জুলাই ওই দুই বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আপিল শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য ৬ আগস্ট দিন ধার্য করেন। ওইদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নজিবুর রহমান এবং আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট শাহ আলম।

গত ১৬ মে বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শুরু হয়। চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক প্রস্তুত হয়। ২৬ ফেব্রুয়ারি ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানির জন্য বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন প্রধান বিচারপতি।

২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ১৮ দলের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে রাজধানীর পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রলীগ ক্যাডাররা নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেন দর্জি বিশ্বজিৎ দাসকে। শাখারী বাজারে বিশ্বজিতের দর্জির দোকান ছিল। তিনি থাকতেন লক্ষ্মীবাজার। তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর।

সূত্র:deshebideshe.com,ডেস্ক।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2024/04/Election-Sayed-Alam-Sagar-21-4-24.jpeg

ঈদগাঁও ইউপির চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলম নির্বাচনী জনমত জরিপে এগিয়ে

  নিজস্ব প্রতিনিধি; ঈদগাঁও :কক্সবাজারের ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে এবার ভিন্ন পরিসরে প্রচারণায় চালিয়ে যাচ্ছেন ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/