সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / বিশ্ব শরণার্থী দিবস আজ

বিশ্ব শরণার্থী দিবস আজ

https://i0.wp.com/coxview.com/wp-content/uploads/2017/09/Rohingya-Rafiq-14-9-17-news-5pic-f2-9.jpg?resize=620%2C388&ssl=1

ফাইল ফটো

অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্ব শরণার্থী দিবস আজ। জাতিসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী ২০০১ সাল থেকে প্রতি বছর জুন মাসের ২০ তারিখ দিবসটি পালন করা হয়। বিশ্বজুড়ে শরণার্থীদের অমানবিক অবস্থানের প্রতি আন্তর্জাতিক নেতাদের সচেতনতা সৃষ্টির জন্য দিবসটি পালন করা হয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালিত হচ্ছে। এবারের শরণার্থী দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘নিরাপত্তা খোঁজার অধিকার’।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে এখন প্রতি ৭৭ জনের একজন শরণার্থী। গত এক দশক ধরে প্রতি বছর শরণার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। ২০২১ সালের শেষে বিশ্বে শরণার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ৯ কোটি ৯৩ লাখে। কিন্তু ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর এই সংখ্যা গত মে মাসে ১০ কোটি ছাড়ায়। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বে খাদ্য সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে এবং সারের সংকট দেখা দিয়েছে।

২০০০ সালের ৪ ডিসেম্বর জাতিসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনে ২০০১ সালের জুনের ২০ তারিখ থেকে প্রতিবছর আন্তর্জাতিক শরণার্থী দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দিনটি বেছে নেয়ার ঐতিহাসিক পটভূমি আছে।

১৯৫১ সালে শরণার্থীদের অবস্থান নির্ণয়-বিষয়ক একটি কনভেনশনের ৫০ বছর পূর্তি হয় ২০০১ সালে। যদিও ২০০০ সাল পর্যন্ত আফ্রিকান শরণার্থী দিবস নামে একটি দিবস কয়েকটি দেশে পালিত হতো। সেটিই এখন জাতিসঙ্ঘের মাধ্যমে বিশ্ব শরণার্থী দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে বিশ্বজুড়ে।

ইউএনএইচসিআরের প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডির মতে, সম্ভাব্য খাদ্য সংকটের কারণে আরো মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে বাধ্য হবে। এছাড়া যুদ্ধ, সংঘাত, জলবায়ু সংকট তো রয়েছেই। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এক হয়ে এই মানবিক দুর্দশা লাঘবে, সংঘাত বন্ধে উদ্যোগ না নিলে এই ভয়াবহ প্রবণতা অব্যাহত থাকবে।

এদিকে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরাট একটা অংশ আমাদের দেশে আশ্রয় নিয়েছে। মিয়ানমারের সেনা নির্যাতন ও গণহত্যা থেকে বাঁচতে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এছাড়া এর আগে থেকেই আরো প্রায় ৪ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে রয়েছে। বর্তমানে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে নিয়ে বিরাট চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বাংলাদেশ। কয়েক দফা উদ্যোগের পরও একজন রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো যায়নি। নাগরিকত্ব, নিরাপত্তা, স্বাধীনভাবে চলাফেরা করার নিশ্চয়তা নিয়ে তারা আদৌ নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরতে পারবে কি না, তা নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রোহিঙ্গারা।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

লামায় চাম্পাতলী বৌদ্ধ বিহার আগুনে পুড়ে গেছে https://coxview.com/fire-rafiq-16-4-24-1/

লামায় চাম্পাতলী বৌদ্ধ বিহার আগুনে পুড়ে গেছে

  মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম :পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা পৌরসভার চাম্পাতলী বৌদ্ধ বিহারের চেরাং ঘরে ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/