সম্প্রতি কক্সবাজার জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কক্সবাজারের রামু-চকরিয়া টেকনাফসহ উপকূলীয় এলাকায় পানিবন্দী হয়ে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে লাখো মানুষকে। ঘূর্ণিঝড় কোমেনের প্রভাবে জেলার বিভিন্ন গ্রাম তলিয়ে যায়। পাহাড় ধসে নিহতের ঘটনা ও ঘটেছে। গত দু’দিনে বৃষ্টি কম হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এ সুযোগে হু হু করে বাড়ছে কাঁচা বাজার ও নিত্যপণ্যের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিটি পণ্যের দাম হাকা হচ্ছে দ্বীগুণ। প্রতিদিনই বাড়ছে তরিতরকারি ও মাছ মাংসের দাম। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ ক্রেতারা। সবশেষে উখিয়া দারোগা বাজারে যে মাছ বিক্রি হতো ৩০০ টাকায় সে মাছ বিক্রি হয়েছে ৬০০ টাকায়। কেজি প্রতি ৫০-৬০ টাকার নিচে কোনো তরিতরকারি পাওয়া যাচেছ না। আয়েশা বেগম নামের এক ক্রেতা ২টি তিতকরলা হাতে নিয়ে ওজন করতে বলেন। তিতকরলার দাম শুনে দিশাহারা নারী ক্রেতা আয়েশা বেগম একা নন। তার মতো সব ক্রেতা সবজির দাম শুনলে চমকে উঠেন। বিক্রেতারা বলছেন, বন্যার কারণে কাঁচা বাজারের দাম বেড়েছে। মাছ বাজারে আরেক নারী ক্রেতা এসে বলেন, ১ কেজি ইলিশ মাছ দাও। কিন্তু তিনি কোন দাম জানতে চাননি। দোকানি ৩টি মাছে ১ কেজি ওজন করে দিলেন। মহিলা ১০০০ টাকার একটি নোট দিলে দোকানি ১০০ টাকা ফেরৎ দেয়। ক্রেতা বলেন, কত এবং কেন এত বেশি রেখেছো? দোকানি বলে, ১ কেজি মাছের দাম ৯০০ টাকা। দাম যা তাই রেখেছি। মাছের দাম শুনে মহিলা হতভম্ব। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে আমতা আমতা করে কিছু বলতে চেয়েও না বলে ওই ১০০ টাকা নিয়ে বাড়ির পথে রওয়ানা দেয়। নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে পরিকল্পিত উখিয়া চাই এর আহবায়ক নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেন, আমার জানা মতে, উখিয়াতে যে পরিমাণ পণ্য বর্তমানে মজুদ রয়েছে তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল নয়। চাহিদার সঙ্গে সরবরাহের সামঞ্জস্য থাকবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী মজুদ, সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে বাজার মনিটরিং করা দরকার।
You must be logged in to post a comment.