সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / মশা নিধনে নেই কোন ব্যবস্থা : মশার উপদ্রবে অতিষ্ট পৌরবাসী

মশা নিধনে নেই কোন ব্যবস্থা : মশার উপদ্রবে অতিষ্ট পৌরবাসী

মশা নিধনে নেই কোন ব্যবস্থা : মশার উপদ্রবে অতিষ্ট পৌরবাসী

মশা নিধনে নেই কোন ব্যবস্থা : মশার উপদ্রবে অতিষ্ট পৌরবাসী

রাশেদ রিপন; কক্সভিউ:

শহরে দিন দিন মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাতের আধার ছাড়াও দিনের বেলাতে মশার উপদ্রবে অতিষ্ট শহরবাসী। ডেঙ্গু ম্যালেরিয়াসহ নানা ধরণের রোগবালাই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্ষা মৌসুম পেরিয়ে গেলেও মশার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে নেই কোন কার্যকর পদক্ষেপ। সাধারণত নালা, ডোবা ও জমে থাকা পঁচা পানি থেকে মশা জন্ম বিস্তার করে থাকে। নিয়ম অনুযায়ী বর্ষা মৌসুম শেষ হওয়ার পর নালা ও বিভিন্ন ডোবা থেকে যাতে মশা জন্ম বিস্তার করতে না পারে পৌর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে শহরের বিভিন্ন স্থানে মশা নিয়ন্ত্রক স্প্রে করে তা ধ্বংস করা হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের অনেকদিন হয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষের কোন কার্যকরী পদক্ষেপ লক্ষ করা যাচ্ছে না। ইতোমধ্যেই কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ৩ মাসে ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৭০ জন রোগী কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার নোবেল কুমার বড়ুয়া জানান, “সাধারণত এ্যানোফিলিস জাতীয় স্ত্রী মশা থেকে ম্যালেরিয়া রোগ হয়ে থাকে। এরা ৪ ধরণের জীবাণু বহন করে থাকে। জীবাণুগুলো যথাক্রমে প্লাসমোডিয়াম ম্যালেরি, প্লাসমোডিয়াম ভাইভেক্র, প্লাসমোডিয়াম ওভেলি ও প্লাসমোডিয়াম ফেন্সি ফোরাম। এদের মধ্যে সচরাচর ভয়ানক হল প্লাসমোডিয়াম ফেন্সি ফোরাম এবং প্লাসমোডিয়াম ভাইভেক্র। আর ডেঙ্গু রোগ হয়ে থাকে এডিস মশার মাধ্যমে। কক্সবাজারে সাধারণত ম্যালেরিয়া রোগী বেশি থাকলেও মাঝে মাঝে ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পৌর মেয়র সরওয়ার কামাল জানান, এটি পৌরসভার একটি নিয়মিত প্রোগ্রাম। পূর্বে এটি সরকারী অর্থায়নে করা হলেও বর্তমানে পৌরসভার নিজস্ব অর্থায়নে এটি পরিচালনা করা হয়ে থাকে। শহরের অভ্যন্তরে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নির্দেশনা মোতাবেক প্রত্যেকটি ওয়ার্ড, ডোবা, ড্রেইন, হোটেল-মোটেল জোন এলাকায় মশা নিধন অপারেশন পরিচালনা করা হবে। আগামী মাসে এই প্রোগ্রাম শুরু হবে।

মাত্রাতিরিক্ত মশার উপদ্রবে রীতিমত অতিষ্ট শহরবাসী। শহরের নাগরিক সুবিধার মধ্যে থাকা এসব অধিকার যাতে যথারীতি প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং অনাকাঙ্খিত এসব রোগবালাই থেকে যাতে শহরবাসী রক্ষা পায় এমন প্রত্যাশা সাধারণ জনগণের।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

https://coxview.com/wp-content/uploads/2023/01/BGB-Rafiq-24-1-23.jpeg

বিপুল পরিমাণ পপিক্ষেত ধ্বংস করল বিজিবি

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম : পার্বত্য জেলা বান্দরবানে থানচি উপজেলা গহীণ অরণ্যে মাদক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/