চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়ার চুনতি এলাকায় লোহাগাড়ামুখী দ্রুতগামী ম্যাজিক গাড়ি পিছলে বিপরীতমূখী সৌদিয়া পরিবহনের একটি যাত্রীবাহি বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে চিকিৎসকসহ ২জন নিহত ও অন্তত ২০ যাত্রী কমবেশী আহত হয়েছে। ২৫ জুলাই শনিবার বেলা ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তন্মধ্যে গুরুতর আহত তিনজনকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে রেফার করলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও জালালাবাদ এলাকার বাসিন্দা ডা. মোজাম্মেল হক (৫০) ও চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারাস্থ রংমহল গ্রামের মৃত প্রিয়তোষ দে’র ছেলে ব্যবসায়ী অলক দে (৩০)।
গুরুতর আহতরা হলেন- বানিয়াছড়ার জয়নাল আবেদীনের ছেলে ম্যাজিক গাড়ির হেলপার নুরনব্বী (২৪), বরইতলী চাঁদের বাপের পাড়ার মৃত আহম্মদ কবিরের ছেলে জহুর আলম ভুট্টো (২৯) ও সাতকানিয়ার সাতঘর এলাকার আলী আহমদের ছেলে শহিদুল ইসলাম (১৮)। অন্য আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার বেলা ২টার দিকে যাত্রীবাহি একটি ম্যাজিক গাড়ি যাত্রী নিয়ে চকরিয়ার চিরিংগা স্টেশন থেকে লোহাগাড়ায় যাচ্ছিল। গাড়িটি চুনতি এলাকায় প্রবেশ করা মাত্র কক্সবাজারমূখী সৌদিয়া পরিবহনের একটি বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দু’গাড়ির হেলপারসহ ২২ যাত্রী আহত হয়। তন্মধ্যে মারা যায় ২জন। হেলপার নুরনবীর অবস্থাও সংকটাপন্ন বলে চিকিৎসক মোহাম্মদ ছাবের জানান।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত লোহাগাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক দু’সন্তানের জনক। তার স্ত্রী নাসিমা আক্তার চকরিয়ার প্রাইভেট হাসপাতাল জমজমে গাইনী বিশেষজ্ঞ হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন। চিকিৎসক দম্পতি চকরিয়ায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। ওই বাসা থেকে চিকিৎসক মোজাম্মেল কর্মস্থল লোহাগাড়া হাসপাতালে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান বলে জমজমের চিকিৎসক ফয়েজুর রহমান জানান।
অন্যদিকে রংমহল এলাকার ব্যবসায়ী অলক দে’র মরদেহ চকরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পর আত্মীয়-স্বজনরা তার লাশ দেখে আহাজারি ও কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক অলক দে চুনতি একটি মন্দিরে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান বলে তার নিকটাত্মীয়রা জানান।
এদিকে দুর্ঘটনায় পতিত গাড়ি দুটি ঘটনাস্থলে রয়েছে। ম্যাজিক গাড়ির হতাহত ১৬ জনকে বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও চমেক হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন চুনতি পুলিশ ফাঁড়ির আইসি নুরুল ইসলাম।
You must be logged in to post a comment.