Home / প্রচ্ছদ / রামুতে একমাসে দুইবার বন্যা : পানিবন্দী ৫০ হাজার মানুষ

রামুতে একমাসে দুইবার বন্যা : পানিবন্দী ৫০ হাজার মানুষ

Ramu Pic-1নিজস্ব সংবাদদাতা, রামু

কয়েকদিনের টানা বর্ষণ এবং পাহাড়ী ঢল নেমে আসায় রামু উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে উপজেলার অন্তত ৫০ হাজার মানুষ। দুর্গত এলাকার মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছে।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার থেকে টানা বর্ষণে পাহাড়ী ঢল নেমে আসায় উপজেলার বাঁকখালী নদী, সোনাইছড়ি খাল, গর্জই খালসহ বেশ কয়েকটি নদনদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় উপজেলার নিম্নাঞ্চল পানিতে প্লাবিত হয়। এতে ফতেখাঁরকুল সদর, কাউয়ারখোপ, দক্ষিণ মিঠাছড়ি রাজারকুল, চাকমারকুল ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে।

Ramu Pic 25 July'15রামুর ফতেখাঁরকুলের মধ্যম মেরংলোয়া গ্রামে বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক বেদারুল আলম জানান, গত রমজান মাসের বন্যার পানির স্রোতের তোড়ে রামু-জাদি পাড়া সড়কের ভুতপাড়া, জাদি পাড়াসহ কয়েকটিস্থানে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়। তাই নদীতে পানি একটু বাড়লেই এসব ভাঙ্গন দিয়ে পানি ঢুকে প্লাবিত হয়ে যায়। তিনি জানান, কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণে বাঁকখালী নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় মাত্র এক মাসের মধ্যে ভুত পাড়া, পূর্ব মেরংলোয়া, মধ্যম মেরংলোয়া, পশ্চিম মেরংলোয়া, তলিয়াপাড়া, আমতলিয়া পাড়া, লম্বরী পাড়াসহ উপজেলার প্রায় ২০টি গ্রাম আবার প্লাবিত হয়েছে।

কলেজ শিক্ষক মোঃ ইজত উল্লাহ জানান, গত রমজানে এখানকার মানুষ টানা পাঁচদিন পানিবন্দী ছিল। সেই বন্যার ভয়াবহতা এবং ক্ষয়ক্ষতি মানুষ এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এরমধ্যে আবার বন্যা, যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা।

Ramu Pic-2রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ-উল আলম জানান, জরুরী ভিত্তিতে ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্দের জন্য জেলায় চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে আজ (শনিবার) পর্যন্ত কোনো সরকারী বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। তবে জরুরী অবস্থা মোকাবেলার জন্য বেশি প্লাবিত এলাকাগুলোতে তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু কিছু শুকনো খাবার (চিড়া, মুড়ি, গুড়) বিতরণ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

Share

Leave a Reply

x

Check Also

জালালাবাদ ও রশিদনগরে কোরআন শরীফ বিতরণ ঈদগাঁও ঐক্য পরিবারের

এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও : কক্সবাজারে ...

%d bloggers like this: