রামুর হাইটুপির বাঁকখালী নদীর ভাঙ্গণে হুমকির মুখে পড়েছে রামুর ফতেখাঁরকুলের ভূতপাড়া, মেরংলোয়া, উত্তর ফতেখাঁরকুল, চালইন্যা পাড়া, চাকমারকুলের জারাইলতলী, বড়ুয়া পাড়া, মোহাম্মদপুরা, শ্রীমুরা, শাহমদের পাড়া, জোয়ারিয়ানালার আশকরখিল, চৌধুরী পাড়া, নোনাছড়ি, কক্সবাজারের পি.এম.খালী, পাতেলী, মহসিনিয়া পাড়া, খুরুশকুলসহ বিভিন্ন স্থান। রামুর বন্যার পরিস্থিতি খুবই করুন। সকালের দিকে কিছুটা বৃষ্টি কমলেও অনেক স্থানে পরিস্থিতি আগের মতোই রয়ে গেছে। বর্তমানে পানিবন্দি বন্যা দূর্গত মানুষ গুলোর দূর্ভোগ বেড়েই চলছে। বন্যা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। রাজারকুল ও কাউয়ারখোপ মনিরঝিলের মানুষ বর্তমানে পানিবন্দি অবস্থা মানবেতর জীবন যাপন করছে।
এদিকে রামুর ভয়াবহ বন্যায় রামু প্রবাসী কল্যাণ সংস্থা (মক্কা)র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিল (ইঐজঈখ) রামু শাখার সভাপতি আলহাজ্ব সিকদার শফিউল্লাহ মনছুর এর ব্যক্তিগত তহবিল হতে নিজ উদ্যোগে রামুতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে রামু বাইপাস সিকদার কমপ্লেক্সে ২ আগষ্ট নগদ অর্থ ও চাউল বিতরণ করা হয়। এতে নগদ অর্থ ও চাউল বিতরণ করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিল রামুর সভাপতি সিকদার শফি উল্লাহ মনছুর, সহ-সভাপতি মোস্তাক আহমদ হেলালী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমদ, রামু প্রবাসী কল্যাণ সংস্থা (মক্কা)র প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এস.মোহাম্মদ হোসেন, রামু বাইপাস জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক রুকন উদ্দিন, মানবাধিকার কাউন্সিলের রামু শাখার যুগ্ম সম্পাদক আবুল ফয়েজ প্রমূখ।
নেতৃবৃন্দ রামু উপজেলাকে দূর্গত এলাকা ঘোষণার দাবী জানান এবং রামুর বাঁকখালী নদীর দু’পারে ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় ভাঙ্গণ রোধে পাথরের ব্লক কিংবা স্পার নির্মাণসহ স্থায়ীভাবে বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবী জানান।
বিশিষ্ট সমাজ সেবক শফিউল্লাহ মনছুর বলেন, বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত রামুর ফতেখাঁরকুলের হাইটুপি, ভূত পাড়া, পূর্ব মেরংলোয়া, মধ্যম মেরংলোয়া, পশ্চিম মেরংলোয়া, চালইন্যা পাড়া, উত্তর ফতেখাঁরকুল, সাতঘরিয়া পাড়া, ডুয়ানা পাড়াসহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকায় বন্যা দুর্গত অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে সরকারসহ বিত্তশালীদের প্রতি আহবান জানান।
You must be logged in to post a comment.