মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলী কদম :
অব্যাহত দূষণ ও দখল থেকে মুক্তি পাচ্ছে বান্দরবানের লামা উপজেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র লামা বাজার পুকুরটি। দীর্ঘদিন ধরে পুকুরটিকে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড় হিসেবে ব্যবহার করত বাজারের এক শ্রেণির ব্যবসায়ী ও দখলবাজরা। দীর্ঘস্থায়ীভাবে দখল করে ভবন নির্মাণের পাঁয়তারাও করছিল একটি মহল। অবশেষে পুকুরটি রক্ষায় এগিয়ে এসেছে লামা উপজেলা প্রশাসন।
সরকারি এ সম্পত্তি রক্ষার জন্য বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলা প্রশাসন ময়লা-আবর্জনা অপসারণের উদ্যোগ নিয়েছে। পুকুরটি সংস্কার কাজ পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হোসেন চৌধুরী। এসময় স্থানীয় সাংবাদিক, বাজার ব্যবসায়ী, সাধারণ জনগণ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, লামা বাজারে যদি কোনো ধরনের অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে তাহলে তা নির্বাপণের কোনো ব্যবস্থা নেই, সবগুলো পুকুর দখল হয়ে গেছে। এই পুকুরটা সংস্কার করা হবে। যাতে করে এখানকার পানি অজু, গোসলসহ বিভিন্ন কাজে মানুষ ব্যবহার করতে পারে। অগ্নি নির্বাপণে পানি যেন কাজে আসে। পৌরসভা এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীরা যে পুকুরটাতে ময়লা ফেলে ভাগাড় তৈরি করেছিল, সেই পুকুরকে দেওয়া হবে দৃষ্টিনন্দন রূপ।
লামা বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি আমান উল্লাহ বলেন, দখল ও দূষণের কবলে পড়ে লামা বাজারের একমাত্র পুকুরটি ক্রমশ মজাপুকুরে পরিণত হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে পুকুরটিকে মুক্ত করার প্রয়াস গ্রহণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। এরই অংশ হিসেবে ময়লা আবর্জনায় ভরপুর পুকুরটির সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনার জন্যে বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে কাজ শুরু করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা প্রশাসন। আর একাজে সহযোগিতা করছেন লামা পৌরসভা সহ স্থানীয় বাসিন্দারা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ‘ময়লা আবর্জনা ফেলে নষ্ট করা হচ্ছে লামা বাজারের পুকুরটি। শুধু দূষণ নয় দখলের কবলে পড়ে পুকুরটি প্রায় ভরাট হয়ে গেছে। পুকুরের চারপাশের বাসিন্দারা তাদের বাড়ি ও দোকানের অংশ বৃদ্ধি করে অনেকখানি পুকুর ইতিমধ্যে দখল করে নিয়েছে। অব্যাহতভাবে পুকুর ভরাটের কারণে পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হওয়ার পাশাপাশি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে প্রয়োজনীয় পানি সংকটের আশঙ্কা সৃষ্টি করছেন স্থানীয়রা। ফলে জনবসতি ও লামা বাজারের পানি চাহিদা পূরণের স্বার্থে পুকুরটিকে রক্ষায় প্রয়াস গ্রহণ করায় স্থানীয়রা উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরো জানান, এই শহরকে বসবাস যোগ্য করার জন্য এই পুকুর উদ্ধার করার কোনো বিকল্প নেই। পুকুর দখল দূষণমুক্ত করে এই শহরকে বাসযোগ্য করার জন্যেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই প্রয়াস গ্রহণ করা হয়েছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এই শহরকে বাসযোগ্য করে তুলব সে আশা করছি।
You must be logged in to post a comment.