সংবর্ধনা সভায় জাফর আলম- জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন কক্সবাজারকে আধুনিক পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা

সদর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাফর আলম এর শোকরানা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর থেকে মিছিলে মিছিলে পুরো শহর যেন মিছিলের শহরে পরিণত হয়। সভা শুরু হওয়ার আগেই শহীদ দৌলত ময়দান কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়। মাঠে জায়গা না হওয়ায় পৌরসভা চত্ত্বর, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এবং লালদিঘীর প্রধান সড়কে ভীড় করে উৎসুক জনতা।

চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম দীর্ঘদিন ভারতে চিকিৎসা শেষে কক্সবাজার ফিরে আসায় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ ওই শোকরানা সভার আয়োজন করে।

শোকরানা সভায় বক্তরা বলেন, খালেদা জিয়া দেশে না ফিরে বিদেশ বসে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বিদেশে থেকে মা আর পুতে মিলে দেশকে অস্থিতিশীল করতে এবং বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে বিদেশী হত্যার মদদ দিয়েছে। বিদেশে থেকে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাথে যোগাযোগ করে দেশের চলমান উন্নয়নের গতিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে দেশের শান্ত পরিবেশকে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

যে সময়ে দুজন শীর্ষ পর্যায়ের যুদ্ধাপরাধীর মুজাহিদ এবং সাকা চৌধুরীর মত ঘৃণিত রাজাকারের বিরুদ্ধে ঘোষিত ফাঁসির রায় বাস্তবায়নের পথে, ঠিক তেমনি সময় বিএনপি-জামায়াত বিদেশী হত্যা, পুলিশ হত্যা করে দেশকে বিদেশীদের কাছে অনিরাপদ জঙ্গীবাদের রাষ্ট্র হিসাবে চিহ্নিত করতে চায়।

অচিরেই কক্সবাজারে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে। সেই সম্মেলনে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা তাদের প্রত্যক্ষ ভোটের মধ্যে দিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থী বেছে নিবে। ঐক্যবদ্ধ তারুণ্যের আওয়ামী লীগের শক্তিশালী নেতৃত্ব সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে বেরিয়ে আসবে এবং কক্সবাজারে বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড কঠোর হাতে দমন করা হবে।

জননেত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারের যে উন্নয়নের রূপরেখা ঘোষণা করেছেন আধুনিক বিশ্বমানের পর্যটন নগরী হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য আওয়ামী লীগের সকল নেতাদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।

১৭ নভেম্বর শহীদ দৌলত ময়দানে বিকাল ২টায় আয়োজিত বিশাল শোকরানা সভা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্দ্যেগে অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আবু তালেবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহাম্মুদুল করিম মাদুর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত শোকরানা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট এ.কে আহমদ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট রনজিত দাশ, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মাবু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক কায়ছারুল হক জুয়েল। এতে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম, পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নূর আল হেলাল, চকরিয়া পৌর আওয়ামী লীগ নেতা জাহেদুল ইসলাম লিটু, ওয়ালিদ মিল্টন, সরওয়ার আলম, ইউপি চেয়ারম্যান আজিম, ইউপি চেয়ারম্যান বদিউল আলম, চিরিঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, বদরখালী ইউপি চেয়ারম্যান নূর হোসেন আরিফ, মোক্তার আহমেদ, মাষ্টার নুরুল আজিম, মকছুদুল হক ছোটন, ছৈয়দুল আলম, ডাক্তার মীর আহমদ, জেলা জয় বাংলা লীগের সভাপতি আব্দুল হক জিকু, লুৎফুর রহমান আজাদ, শহিদুল ইসলাম, সিরাজুল মোস্তফা আলাল, কুদুরত উল্লাহ সিকদার, এহসানুল হক, সেলিম মোর্শেদ ফরাজী, মোজাহের আহমদ, এস.এম বদিউল আলম আমির, সাইফুল ইসলাম মেম্বার, ডা. মমতাজুল হক, আতাউস ছামাদ টিটু, মোঃ মহিদুল্লাহ, দেলোয়ার হোসেন, আবছার কামাল, মফিজুর রহমান, হাসানুল হক, আবু খালিদ, দিদারুল ইসলাম, মোঃ রিয়াদ, ওসমান সরওয়ার ডিপু, মিজান, ছাত্রলীগ নেতা নোর্শাদ মাহমুদ, রউফ নেওয়াজ ভুট্টো, কামরুল হাসান সোহাগ, শাহনেওয়াজ, বাদশা রাশেদ খান প্রমুখ।

সভায় পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাব উদ্দিন ফরাজীর নিসৃংশ হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন। শোকরানা সভায় জাফর বলেন, চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলায় যেমনি ভাবে বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসাত্মক অপরাজনীতি প্রতিহত করেছি ঠিক তেমনি ভাবেই সদর উপজেলা আওয়ামী লীগকে সাথে নিয়ে কক্সবাজারেও বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসাত্মক রাজনীতি মোকাবেলা করা হবে। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের ভেতর ঘাপটি মেরে বসে থাকা সুবিধাবাদীদের রাজনীতির দিন শেষ।

-প্রেসবিজ্ঞপ্তি।