সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / শরণার্থী সমাচার / সাবরাং উপকূল দিয়ে রোহিঙ্গাদের জিম্মি করে আদম বাণিজ্য অব্যাহত : হাতিয়ে নিচ্ছে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার

সাবরাং উপকূল দিয়ে রোহিঙ্গাদের জিম্মি করে আদম বাণিজ্য অব্যাহত : হাতিয়ে নিচ্ছে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার

ফাইল ফটো

 

নিজস্ব প্রতিনিধি; টেকনাফ :

সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নে রোহিঙ্গাদের জিম্মি করে লক্ষ লক্ষ টাকা, স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নিচ্ছে চিহ্নিত দালাল চক্র ও ইয়াবা কারবারীরা গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমার রাখাইন রাজ্যে সংঘটিত ঘটনার পর থেকে নদী, সাগর উপকূল দিয়ে রোহিঙ্গা পাচার কাজ অব্যাহত রেখেছে স্থানীয় ইয়াবা ব্যবসায়ী ও মানব পাচারে জড়িত দালাল চক্রের সদস্যরা।

তথ্য সূত্রে জানা যায়, সাবরাং মুন্ডার ডেইল, আলীর ডেইল, খুরের মুখ, কচুবনিয়া, কাটাবনিয়া বীচ পয়েন্ট দিয়ে মাছ ধরা ট্রলার দিয়ে প্রতিদিন গভীর রাতে মিয়ানমারের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে রোহিঙ্গাদের ট্রলার বোঝাই করে নিয়ে আসে এবং তাদের অসহায় অবস্থাকে জিম্মি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা নগদ টাকা দিতে না পারলে লুট করে নেয় তাদের স্বর্ণালংকার।

রাখাইন রাজ্যে নির্যাতিত অসহায় রোহিঙ্গাদেরকে জিম্মী করে যারা এই সমস্ত অপরাধ কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছে। সে সমস্ত অপরাধী, চিহ্নিত ইয়াবা পাচারকারী, আদম পাচারকারী দালালদের আইনের আওয়াতায় নিয়ে আসার জন্য দাবী জানিয়েছেন অত্র এলাকার সুশীল সমাজ।

কারণ অবৈধ কাজে জড়িতদের আইনের ভিতরে নিয়ে না আসলে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকবে।

আর তাদেরকে ব্যবহার করে ইয়াবা পাচারসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড অব্যাহত রেখে কোটি কোটি টাকার মালিক হবে চিহ্নিত অপরাধী চক্রের মূল হোতারা।

তথ্য অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, ইদানিং সাবরাং মুন্ডার ডেইল, আলীর ডেইল সীমান্ত দিয়ে প্রায় ১০/১৫ জনের একটি বিশাল সিন্ডিকেট রোহিঙ্গাদের জিম্মি করে আদম পাচার অব্যাহত রেখেছে।

আর এই ইয়াবা পাচারকারী ও আদম পাচারকারী দালালদের সক্রিয় ভাবে সহযোগীতা করে যাচ্ছে অত্র এলাকার স্থানীয় ইউপি সদস্য সৈয়দ আহাম্মদের পুত্র মোয়াজ্জেম হোসেন দানু, এলাকাবাসী বলছে তার নেতৃত্বে রয়েছে অপরাধ জগতের বিশাল বাহিনীর সদস্যরা।

তারা হচ্ছে একই এলাকার মোহাম্মদ পুত্র মন্জুর আলী, আব্দুল জালাল,মোঃ রাসেল,জহির আহাম্মদের পুত্র জসিম উদ্দিন রব্বানী, সৈয়দ আহাম্মদের পুত্র মোঃ হাছন, সাহাব। মিয়ার পুত্র আক্তার কামাল, মোঃ জলিলের পুত্র মোঃ হেলালসহ নাম না জানা আরো অনেকে।

স্থানীদের কাছ থেকে জানা যায়, এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা বর্তমানে সাগর পথে রোহিঙ্গা নিয়ে আদম ব্যবসা চালু রাখতে সাগরে মাছ ধরা বেশ কয়েকজন মাঝিকে টাকার বিনিময়ে ব্যবহার করে যাচ্ছে।

এই সমস্ত অপরাধে জড়িত মাঝিরা হচ্ছে, কালু ফকিরের পুত্র, আব্দুল আমিন প্রকাশ লুলা মাঝি, কবির আহাম্মদের পুত্র শাকের মাঝি, হোসন আহাম্মদের পুত্র আব্দুল্লাহ মাঝি, ইউসুফ আলীর পুত্র ফজল মাঝি, তার ছেলে ইব্রাহিম, নুরুল ইসলাম প্রকাশ দোহারীর পুত্র নুর হোসেন মাঝি।

প্রতি রাতে এই অপরাধীরা মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা থেকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংক, লুটে নিচ্ছে স্বর্ণ। আবার পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে প্রবাসে থাকা তাদের স্বজনদের কাছ থেকে আদায় করে নিচ্ছে নগদ অর্থ।

গত কয়েকদিন আগে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা বোঝাই বেশ কয়েকটি ট্রলার তাদের আওয়াতাই নিয়ে আসার জন্য টানা হেঁচড়া করতে গিয়ে এক পর্যায়ে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। এতে অনেক রোহিঙ্গা সলিল সমাধি হয়েছে বলে জানা যায়।

রোহিঙ্গাদের নিয়ে নিষ্ঠুর আদম বাণিজ্য বন্ধ করতে হলে, এই সমস্ত অপরাধী মানব পাচারকারী, চিহ্নিত ইয়াবা কারবারী দলের সদস্য ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা জরুরী বলে মনে করছেন টেকনাফের সচেতনমহল।

এব্যপারে টেকনাফ মডেল থানার ওসি মাঈন উদ্দিন খাঁন বলেন যারা রোহিঙ্গাদের জিম্মী করে হাতিয়ে নিচ্ছে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, তার পাশাপাশি যারা মরণ নেশা ইয়াবা পাচারের সাথে সক্রিয় ভাবে জড়িত তাদের আইনের আওয়াতাই নিয়ে আসতে আমাদের পুলিশ সদস্যরা সদা প্রস্তুত রয়েছে, তবে স্থানীয় সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা আমাদেরকে সঠিক তথ্য প্রমাণ নিয়ে সহযোগীতা করলে আমরা খুব সহজে সমস্ত অপরাধীদের আইনের আওয়াতাই নিয়ে আসতে সক্ষম হব।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

লামায় চাম্পাতলী বৌদ্ধ বিহার আগুনে পুড়ে গেছে https://coxview.com/fire-rafiq-16-4-24-1/

লামায় চাম্পাতলী বৌদ্ধ বিহার আগুনে পুড়ে গেছে

  মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম; লামা-আলীকদম :পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা পৌরসভার চাম্পাতলী বৌদ্ধ বিহারের চেরাং ঘরে ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/