
প্রতিকী ছবি
শহীদুল্লাহ্ কায়সার :
এক সপ্তাহের ব্যবধানে কক্সবাজার কারাগারের আরো এক হাজতির রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো। ১৪ আগস্ট বিকেলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। ৭ আগস্টের মতো এবারও নিহতের স্বজনেরা দাবি করেছেন নির্যাতনের কারণেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে, প্রথমবার এই অভিযোগ ডিবি পুলিশের বিরুদ্ধে ছিলেও এবার অভিযোগের তীর কক্সবাজার কারা কর্তৃপক্ষের দিকে।
নিহতের নাম মোঃ রায়হান। তিনি কক্সবাজার শহরের নূর পাড়া এলাকার মৃত আমিন হোসেনের পুত্র। একটি মামলার আসামি হিসেবে দীর্ঘ চারমাস ধরে কক্সবাজার কারাগারে হাজতবাস করছিলেন।
এ দিকে, নিহতের স্বজনেরা এটিকে ঠাণ্ডা মাথার হত্যাকাণ্ড আখ্যা দিয়েছেন। বলেছেন কারাগারের নির্যাতনের শিকার হয়েই রায়হান মারা গেছেন। আর দাবি করেছেন, বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে তাদের সামনে প্রকৃত সত্য তুলে ধরা হোক।
নিহতের ভাই মোঃ আরমান বলেন, সোমবার বিকেল পৌনে চার টার দিকে ০১৮৭৬০০০১৮১ নাম্বার থেকে আমাকে একটি ফোন দিয়ে জানানো হয় আমার ভাই হাসপাতালে মারা গেছে। অথচ গতকালও আমার আরেক বড় ভাই রাফসান মিন্টু তাঁর সঙ্গে কারাগারে দেখা করেছিলেন। এ সময় আমার নিহত ভাই জানিয়েছিলেন, ‘১৩ আগস্ট কারাগারের অভ্যন্তরের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাকে মারধর করা হয়।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বিকেল থেকে হাসপাতালে এলেও এখন পর্যন্ত নিহত ভাইয়ের চেহারা পর্যন্ত দেখতে পারিনি। তবে, শুনেছি তাকে ডাণ্ডা-বেড়ি পরিহিত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।
অন্যদিকে জেল সুপার বজলুর রশীদ দাবি করেন, হাজতি মোঃ রায়হান স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে তাঁকে দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরী বলেন, “নিহত রায়হানকে সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এ সময় তাঁর পালস্ ছিলো না। এরপরই তাকে ওয়ার্ডে প্রেরণ করা হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক চিকিৎসা শুরু করার আগেই তার মৃত্যু হয়।” নিহতের শরীরে কোন ধরনের আঘাতের চিহ্নের ব্যাপারে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানানোর পাশাপাশি ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত বিষয় জানা যাবে বলেও জানান তিনি।