কুমিল্লার হত্যা ও নাশকতার দুই মামলায় ছয় মাসের জামিন পেয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আর নড়াইলের মানহানির মামলার জামিন আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
২৮ মে, সোমবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে ২০ মে, কুমিল্লা ও নড়াইলের তিন মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করেন খালেদা জিয়া।
গত ১৬ মে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে দেওয়া হাইকোর্টের জামিন বহাল রাখে আপিল বিভাগ। তবে তার কারামুক্তির জন্য আরও ছয়টি মামলায় জামিন নিতে হবে। পাশাপাশি চারটি মামলায় হাজিরা পরোয়ানা প্রত্যাহারের প্রয়োজন রয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা গত বৃহস্পতিবার ঢাকার পৃথক আদালতে দুটি মানহানির মামলায় জামিনের আবেদন করেন। চারটি মামলায় হাজিরা পরোয়ানা প্রত্যাহারের আবেদন জানান।
আদালত শুধু নাইকো মামলায় হাজিরা পরোয়ানা প্রত্যাহার করেছে। বাকি আবেদনগুলোর বিষয়ে পরে আদেশ দেওয়া হবে উল্লেখ করে দিন ধার্য করা হয়েছে।
২০১৫ সালে অবরোধ চলাকালে ২ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপের ফলে সাতজন যাত্রীর মৃত্যু এবং আরও ২৫ থেকে ২৬ জন গুরুতর আহতের ঘটনায় একটি মামলা হয়। এ মামলার অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়ার নাম আসে।
একই বছরের ২৫ জানুয়ারি নাশকতার অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের হওয়া একটি মামলায়ও খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়।
বিচার চলাকালে এ দুটি মামলায় গত ২৩ এপ্রিল জামিন চেয়ে আবেদন জানালে ৭ জুন দিন ধার্য করা হয়। এ তারিখ এগিয়ে আনার আবেদন জানালে আদালত তা-ও খারিজ করে দেয়।
মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার অভিযোগে ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইলে মানহানির মামলা করে স্থানীয় এক মুক্তিযোদ্ধার ছেলে রায়হান ফারুকি ইমাম। মামলাটি নড়াইলের মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে বিচারাধীন। চলতি বছরের ১৬ এপ্রিল খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে তার আইনজীবীরা আবেদন করেন।
আদালতে বিলম্বে শুনানির দিন ধার্য থাকায় তিনটি মামলায় জামিন আবেদন দায়েরের জন্য রবিবার সকালে হাইকোর্টে অনুমতি চান খালেদার আইনজীবীরা। অনুমতি পেয়ে জামিনের আবেদন দাখিল করেন তারা।
সূত্র:আমিনুল ইসলাম মল্লিক-priyo.com;ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.