সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / সাম্প্রতিক... / অবশেষে ঈদগাঁও বাজারে স্পীড ব্রেকার স্থাপিত হলো : খুশিতে শিক্ষার্থীরা

অবশেষে ঈদগাঁও বাজারে স্পীড ব্রেকার স্থাপিত হলো : খুশিতে শিক্ষার্থীরা


এম আবু হেনা সাগর; ঈদগাঁও :

নানা চড়াই উৎরায় পেরিয়ে দীর্ঘদিন পর অবশেষে জেলা সদরের বহুল আলোচিত বাণিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজারে স্পিড ব্রেকার স্থাপিত হলো। এ নিয়ে ক্ষুদে শিক্ষার্থীসহ সর্বশ্রেণীপেশার মানুষজন মহাখুশিতে উৎফুল্ল।

জানা যায়, ৯ মে বিকেলে ঈদগাঁও বাজারের ইউনিয়ন ব্যাংক সংলগ্ন স্থানে ঈদগাঁও রিপোর্টাস সোসাইটির সভাপতি এম. আবুহেনা সাগর ও ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইরফানুল করিমের একান্ত প্রচেষ্টায় এবং জেলা ছাত্রলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী নিশানের আন্তরিক সহযোগিতায় বহুদিনের প্রত্যাশিত দাবী এ স্পিড ব্রেকারটি স্থাপিত হলো।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ঈদগাহ ফরিদ আহমদ ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক সাইফুল ইসলাম, জাালাবাদ ছাত্রলীগ নেতা আরিফ ও তারেকসহ সচেতন বেশ ক’জন লোকজন। এ স্পিড ব্রেকার নির্মাণের ফলে সাধারণ মানুষজন, বাজারে দূর-দূরান্ত থেকে সওদা করতে আসা নর-নারী, ব্যবসায়ীসহ শিক্ষার্থীরা ঝুঁকিপূর্ণ দুর্ঘটনা থেকে সামান্যতম হলেও রেহাই পাবে। আর ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, ঈদগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ব্যাংক, চৌরাস্তার মোড় হিসাবে উক্ত স্থানে এ স্পিড ব্রেকার খুবই উল্লেখযোগ্য বলে মনে করেন সচেতন মহল। বাজারে আগত আবদু শুক্কুর জানান, শিক্ষার্থীদের দিকে লক্ষ্য রেখে এ স্পিড ব্রেকারটি অতীব গুরুত্ব বহন করে।

উল্লেখ্য যে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ঈদগাঁওর ঝুঁকিপূর্ণ ডজনাধিক পয়েন্টে স্পীড ব্রেকারের ব্যবস্থা না থাকায় একের পর এক ঘটে যাচ্ছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। যার ফলে অকালে ঝরে পড়েছে অনেক মূল্যবান তাজা প্রাণ। পাশাপাশি আহত হয়ে অনেকে সারাজীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করছে। এদিকে প্রতিযোগিতামূলক অনিয়ন্ত্রিত গাড়ি চলাচলের কারণে ঘটে চলছে এসব দুঘর্টনা। বিশেষ করে, লবণ শিল্প এলাকা ইসলামপুর প্রবেশদ্বার বটতলী স্টেশন, জেলার ডেঞ্জার জোন খাতে নাপিতখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় টানিং পয়েন্ট, ডুলাফকির টানিং পয়েন্ট, নাপিতখালী খেলার মাঠ সংলগ্ন টানিং পয়েন্ট, তেঁতুলতলী মোড, ঈদগাঁও বাস স্টেশন, খোদাইবাড়ী ব্রীজ সংলগ্ন এলাকা, ফরিদ আহমদ কলেজ গেইট, আলমাছিয়া মাদ্রাসা গেইট, মেহেরঘোনা জব্বারিয়া মাদ্রাসা’র সম্মুখস্থ সড়কসহ বৃহত্তর ঈদগাঁও’র ব্যস্ততম সড়ক-উপসড়কের পয়েন্টগুলোতে গতি না থাকাতে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। যে কারণে অনেক সম্ভাবনাময়ী প্রাণ অকালে ঝরে পড়েছে। এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশির ভাগই মহাসড়কের সন্নিকটে হওয়ায় স্কুল, কলেজ মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাই সিংহভাগ দুর্ঘটনায় প্রায় একাধিকটি মহামূল্যবান জীবন উপরোল্লিখিত পয়েন্টগুলোতে নিঃশেষ হয়েছে। আহত হয়েছে বহুজন।

দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ঈদগাঁওর মত গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকাতে অদ্যাবধি কোন গতিরোধক না থাকার ফলে দুর্ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে সচেতন মহলের অভিমত। শুধু গতিরোধক স্থাপনই শেষ কথা নয়, দুর্ঘটনা রোধে নিয়ন্ত্রিত যান চলাচল, প্রশিক্ষিত চালক, সংশ্লিষ্ট বিভাগের নজরদারী ও সর্বোপরি জনসচেতনতাই অব্যাহত দুর্ঘটনা থেকে মুক্তি দিতে পারে সচেতন মহলের ধারণা। অপরদিকে একাধিক পথচারী মহাসড়ক কিংবা গ্রামাঞ্চলের সড়কগুলোতে চিহ্নিত টেকবাঁকে অতিসত্বর গতিরোধক বসানোর জোর দাবীও জানান।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

ঈদগাঁওর সংবাদকর্মী আবু হেনা সাগরের মাতা অসুস্থ : দোয়া কামনা 

  বার্তা পরিবেশক : কক্সবাজারে ঈদগাঁও উপজেলার সংবাদকর্মী এম আবুহেনা সাগরের মাতা অসুস্থ হয়ে চট্টগ্রামের ইবনে ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/