বাংলাদেশের সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা প্রীতম কুমার চৌধুরী বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে অভিভাবকহীন ১৩ হাজার ৭৫১টি রোহিঙ্গা শিশু রয়েছে।’
তিনি জানান, এসব রোহিঙ্গা শিশুদের বেশিরভাগই জানিয়েছে রাখাইনে সহিংসতায় তারা তাদের বাবা-মায়ের একজন অথবা উভয়কেই হারিয়েছে। অনেকেই আত্মীয়দের সঙ্গে বাংলাদেশে এসেছে।
গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা নিধন অভিযান শুরুর পর প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫ লাখ ২৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। তবে বেসরকারি হিসাবে এ সংখ্যা ৬ লাখেরও বেশি।
এদিকে পালিয়ে আসার হার আগের চেয়ে কিছুটা কমলেও, তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে বলার সময় এখনও হয়নি বলে জানান সংস্থাটির মুখপাত্র। জাতিসংঘ আরও জানায়, মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনে জাতিগত নিধনে নেমেছে।
এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জানায়, মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর গণহত্যা আর ভয়ংকর নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে অন্তত চার লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
সংস্থাটি আরও জানায়, বাংলাদেশে পালিয়ে আসা এসব রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রায় ৬০ শতাংশ শিশু। এ ছাড়া ইউনিসেফের এক পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১১শ’র বেশি রোহিঙ্গা শিশু পরিবার ছাড়া অচেনাদের সঙ্গে পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশে পালিয়ে আসা এতিম রোহিঙ্গা শিশুদের আধুনিক স্মার্ট কার্ড দিচ্ছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
এদিকে রোহিঙ্গা শিশুদের ভবিষ্যত গড়ার লক্ষ্যে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও অস্থায়ী বসতিগুলোয় বর্তমানে ১৮২টি শিক্ষাকেন্দ্র পরিচালনা করছে জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফ। গত ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য আরও এক হাজার ৩০০টি শিক্ষাকেন্দ্র তৈরির ঘোষণা দিয়েছে সংস্থাটি।
সূত্র:আয়েশা সিদ্দিকা শিরিন-priyo.com;ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.