অনলাইন ডেস্ক :
ইউক্রেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনেছে লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। খারকিভে এসব যুদ্ধাপরাধের ঘটনা ঘটেছে বলে অ্যামনেস্টি জানিয়েছে।
এদিকে এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, যুদ্ধ শুরুর পর ১০০ দিনে রাশিয়া আয় করেছে ৯৮ বিলিয়ন ডলার। এদিকে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, সেভেরোডনেস্কের প্রতি মিটারের জন্য লড়াই করছে তার সৈন্যরা।
প্রতিবেদনে আরো বলা হচ্ছে, গুচ্ছবোমার সঙ্গে সঙ্গে অনিয়ন্ত্রিত রকেট ও কামানের গোলা দিয়ে হামলা করেছে রুশ বাহিনী। সব ক্ষেত্রেই যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে।
ব্রিটেনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, খারকিভে যখন ইউক্রেনের সেন্যদের আটক করা হয় তখন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে, যা যুদ্ধাপরাধের শামিল।
এ ছাড়া, নিরাপরাধ মানুষকেও হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এই ধরনের সংস্থা এই প্রথম রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের কথা বললো। এ বিষয়ে প্রমাণ আছে বলেও অ্যামনেস্টি জানায়।
ইউক্রেনের দনবাসের সেভেরোডনেস্ক শহরের ‘প্রতি মিটার’ ভূখণ্ডের জন্য লড়াই চলছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণে নিতে রাশিয়া দনবাসে রিজার্ভ সেনা মোতায়েন করেছে বলেও জানান তিনি।
সেভেরোডনেস্ক শহরে আক্রমণ প্রতিনিয়ত জোরাল করছে রুশবাহিনী। ইউক্রেন থেকে শহরটি বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে সেতু এবং গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। রাতে দেওয়া এক ভাষণে এ প্রসঙ্গে জেলেনস্কি বলেন, দনবাসে মস্কো সমর্থিত যোদ্ধাদের সহায়তা করতেই রিজার্ভ বাহিনী মোতায়েন করছে রাশিয়া।
সংস্থাটির ‘ক্রাইসিস রেসপন্স’ বিভাগের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা দোনাতেলা রোভেরা বলেন, মানবিক সহায়তার জন্য লাইনে দাঁড়ানোর সময় কিংবা খাবার ও ওষুধ কেনার সময় মানুষ তাঁদের বাড়ি, রাস্তা, খেলার মাঠ ও কবরস্থানে প্রাণ হারাচ্ছেন। নিষিদ্ধ গুচ্ছবোমার এভাবে বারবার ব্যবহার মর্মান্তিক।
You must be logged in to post a comment.