স্মার্টকার্ড উৎপাদন ও ভোটারের তথ্য সন্নিবেশের (পারসোনালাইজেশন) ফ্রান্সের ঠিকাদার কোম্পানিকে বাদ দেওয়ার পর নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব উদ্যোগে কাজ শুরু হয়েছে।
২৭ আগস্ট রোববার ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ নির্বাচন কমিশনের এক সভা শেষে এ তথ্য জানান।
হেলালুদ্দীন আরও বলেন, ‘ওই সংস্থার সঙ্গে আমাদের টাকা পয়সার যে লেনদেন আছে, আইনি যে বিষয়গুলো আছে, সেগুলো একজন আইনজীবীকে দিয়ে যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
সচিব জানান, নির্বাচন কমিশন স্মার্টকার্ড প্রিন্টের কাজ নিজেই করছে এবং রোববার থেকেই এর কাজ শুরু হয়েছে। স্মার্টকার্ড প্রিন্টের জন্য তাদের যে দশটি মেশিন আছে, সেগুলো দিয়ে তাদের নিজস্ব জনবল দিয়ে প্রিন্টের শুরু করা হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে ৭ কোটি ৭৫ লাখ ব্ল্যাংককার্ড রয়েছে। সেগুলো প্রিন্টের পাশাপাশি ভোটারের তথ্য সন্নিবেশের কাজ চলছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন, ‘স্মার্টকার্ড বিরতণের জন্য চোখের আইরিশ এবং দশ আঙুলের ছাপ নেওয়ার প্রয়োজনীয় মেশিন কেনার অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। এক্ষেত্রে প্রত্যেক উপজেলার জন্য একটি করে আইরিশ এবং একটি করে ফিঙ্গার প্রিন্ট নেওয়ার মেশিন কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
এছাড়া যতদ্রুত সম্ভব সব এলাকায় তা সরবরাহ করা হবে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ফ্রান্সের কোম্পানি অবার্থুর টেকনোলজিসের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ব্ল্যাঙ্ক কার্ড আমদানি করে বাংলাদেশে স্থাপিত মেশিনে তা প্রক্রিয়াকরণ (পারসোনালাইজেশন) করা হবে। এরপর তা থানা ও উপজেলা পর্যায়ে ভোটারদের হাতে তুলে দেয়ার কথা।
এসব কাজের পুরোটাই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের করার কথা। এমন বিধান রেখে ২০১৫ সালের ১৪ জানুয়ারি ফ্রান্সের ওটির সঙ্গে ১০২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার চুক্তি করে ইসি। চুক্তি অনুযায়ী ২০১৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে ৯ কোটি মানুষের হাতে এ কার্ড তুলে দেয়ার কথা ছিল।
পরে এই মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়। চলতি বছরের ৩০ জুন সেই মেয়াদ শেষ হয়েছে। চুক্তির পর থেকেই প্রতি ধাপে এ কোম্পানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়। নানা অভিযোগের মধ্যে নির্বাচন কমিশন এ চুক্তি আর নবায়ন করেনি। আর চুক্তির মেয়াদ পার হওয়ার পর জটিলতা কাটিয়ে ইসির নিজস্ব জনবল ও আইটি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কাজ শুরু করে সাংবিধানিক সংস্থাটি।
সূত্র:ইতি আফরোজ/priyo.com,ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.