আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদন আহবান করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) রোববার ছিল আবেদনের শেষ দিন। এ দিন পর্যন্ত ৭৬ রাজনৈতিক দল ইসিতে আবেদন করে।
আবেদন যাচাই বাছাই শেষে আগামী মার্চের মধ্যে নতুন দলের নিবন্ধন দেয়া হবে। নির্বাচন কমিশন সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ইসি সূত্র জানায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য ইচ্ছুকদের কাছ থেকে আবেদন চেয়ে গত ৩০ অক্টোবর ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
নির্বাচন কমিশনের জনংসযোগ শাখার পরিচালক ও যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান বলেন, রাজনৈতিকদল নিবন্ধনের আবেদনের শেষ দিন ছিল রোববার। মোট ৭৬টি দল আবেদন করেছে। সংখ্যাটি খসড়া। একই নামে একাধিক এন্ট্রি হয়ে থাকতে পারে। যাচাই-বাছাইয়ের পর চূড়ান্ত সংখ্যা পাওয়া যাবে।
নতুন নিবন্ধনের ক্ষেত্রে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, তিনটির মধ্যে একটি শর্ত পূরণ হলেই তারা নিবন্ধনের যোগ্য বলে বিবেচিত হয়।
শর্তগুলো হলো- ১. দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যেকোনো জাতীয় নির্বাচনের আগ্রহী দলটির যদি অন্তত একজন সংসদ সদস্য থাকেন, ২. যেকোনো একটি নির্বাচনে দলের প্রার্থী অংশ নেয়া আসনগুলোয় মোট প্রদত্ত ভোটের ৫ শতাংশ পায় এবং ৩. দলটির যদি একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়, দেশের কমপক্ষে এক তৃতীয়াংশ (২১টি) প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর কমিটি এবং অন্তত ১০০টি উপজেলা/মেট্রোপলিটন থানায় কমপক্ষে ২০০ ভোটারের সমর্থন সম্বলিত দলিল থাকে।
ইসি সূত্র জানায়, এর আগে দশম সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগ্রহী নতুন ৪৩টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদন করেছিল। এর মধ্যে ৪১টি দলই নির্বাচন কমিশনের কাছে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়। মাত্র দুটি দল শর্ত অনুযায়ী মাঠপর্যায়ে কার্যালয় ও কমিটি থাকার তথ্য দিয়েছিল। এরপর তাদের নিবন্ধন দেয় কমিশন। দল দুটি হলো- বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট।
সূত্র:globetodaybd.com;ডেস্ক।
You must be logged in to post a comment.