সাম্প্রতিক....
Home / প্রচ্ছদ / সাম্প্রতিক... / ঈদগাঁওতে এক এএসআইয়ের হয়রানি ও নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে চায় ভূক্তভোগী এক পরিবার

ঈদগাঁওতে এক এএসআইয়ের হয়রানি ও নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে চায় ভূক্তভোগী এক পরিবার

 

এম আবুহেনা সাগর; ঈদগাঁও :

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এক এএসআইয়ের হয়রানি ও নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে চাই ভুক্তভোগী এক পরিবার। ১২ আগষ্ট বিকালে ঈদগাঁও প্রেস ক্লাবে সংবাদকর্মীদের সাথে মত বিনিময়কালে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পোকখালী ইউনিয়নের সিকদার পাড়ার মৃত মেহের আলীর পুত্র ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি রহমত উল্লাহ ও তার পরিবার।

বক্তব্যে তিনি জানান, ২০১২ সালে একটি মামলায় (যার মামলা নং জি.আর ১৩১/১২) জামিন থাকা সত্ত্বেও জামিননামা গোপন রেখে তৎকালীন পুলিশের অপর এক এএসআই আটক করে তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসছিল। ওই মামলায় জামিন নামা প্রদর্শন করলে ছেড়ে দেয়। পরে তারা জানতে পারেন যে, মামলাটি ওয়ারেন্ট হয়ে গেছে। পুনরায় আদালত থেকে জামিন নিয়ে তদন্ত কেন্দ্রে জমা দেওয়া সত্ত্বেও রিকল গোপন রেখে ওয়ারেন্ট তামিল রয়েছে মর্মে বারবার হয়রানি করে আসছিল। প্রমাণিত হয় অবশ্য এ মামলায় সবাই জামিনে রয়েছে। তিনি আরো অভিযোগ করেন, জামিন থাকা সত্ত্বেও তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই শাহজালাল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গত ৬ আগষ্ট রাত আনুমানিক ৯টায় তার বাড়ীর পার্শ্ববর্তী স্থান থেকে রহমত উল্লাহ ও তার ভাই সেলিম উল্লাহকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও জোর পূর্বক হাতকড়া, শার্টের কলার ধরে আটক করে পোকখালী হাইস্কুল গেইটে নিয়ে যায়। সেখান থেকে এক দালালের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকায় দফারফা করে নগদ ২৫ হাজার টাকা ও বাকী ৫ হাজার টাকার মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। ওই সময় দালালের বাবদ ৯ হাজার, গাড়ীভাড়া বাবদ ১ হাজার, এএসআই নিজে ২০ হাজার হিসাব নিকাশ করে চলে যায় বলে জানায়।

এ ঘটনাটি স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলকে অবহিত করলে তিনি তাৎক্ষণিক রহমত উল্লাহর কাছ থেকে নেওয়া ২৫ হাজার টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন। পরদিন সকালে তার নিকটতম আত্মীয় ফয়জুল হককে ডেকে এনে টাকাগুলো বুঝিয়ে দেন। সাংসদ কমলের নির্দেশে টাকা ফেরত প্রদানের পরও পুনরায় ৯ আগষ্ট রহমত উল্লাহ ও নিকটতম আত্মীয় মোক্তারকে আটক করে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ ও মিথ্যা মামলা দিয়ে কোর্টে চালান দেওয়াসহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসে। পরে জামিননামা প্রদর্শন করলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এসব নির্যাতন ও হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা ও পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নকারী এএসআই শাহজালালের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানান।

এসময় ভুক্তভোগী সেলিম উল্লাহ, মোক্তার আহমদ, মিজানুর রহমান, স্থানীয় ফয়জুল হক, আওয়ামীলীগ নেতা ডাঃ পরিতোষ পাল, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আশিষ কান্তি দে উপস্থিত ছিলেন।

এসময় জোট সরকারের আমলে নির্যাতিত যুবনেতা ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রহমত উল্লাহ কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, জামিননামা দেখানোর পরও বারবার কেন আমাকে পুলিশ ধরে নিয়ে আসছে। শত শত জনতার সামনে কলার ধরে টানা হেচড়া ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে অপমানিত করেছে। এ বিচার পুলিশ প্রশাসনের কাছে চাই তিনি। আরো অভিযোগ করেন, বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নেওয়ার কারণে পুনরায় পুলিশী নির্যাতন ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে পারে বলে আশঙ্কা করেন রহমত উল্লাহর পরিবার।

Share

Leave a Reply

Advertisement

x

Check Also

রামুতে তরমুজের দাম চডা :হিমশিম খাচ্ছে ক্রেতারা

  কামাল শিশির; রামু :কক্সবাজারের রামু উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পবিত্র মাহে রমজানের শুরুতে বিভিন্ন এলাকায় ...

https://coxview.com/coxview-com-footar-14-12-2023/